'অ্যাম্বুলেন্সর জন্য ৩২ হাজার দিয়েছি', করুণ কাহিনী ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতের - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday 4 June 2023

'অ্যাম্বুলেন্সর জন্য ৩২ হাজার দিয়েছি', করুণ কাহিনী ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতের


 'অ্যাম্বুলেন্সর জন্য ৩২ হাজার দিয়েছি', করুণ কাহিনী ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতের



প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ০৪ জুন: ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর দুর্ঘটনায় মৃত ও আহতদের বাড়িতে নিয়ে যেতে স্বজনদের হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়। ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ও পরিবারের লোকজন জানান, বাড়ি পৌঁছাতে তাদের খরচ হয়েছে ৩২-৫০ হাজার টাকা। এর পাশাপাশি দেহ বহনের জন্য ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা দাবী করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। অনেকে গ্রাম থেকে অনুদান সংগ্রহ করে টাকার ব্যবস্থা করেন। এই কাহিনী কোনও একটি পরিবারের নয়, বহু মানুষের।  


শুক্রবার সন্ধ্যায় ওড়িশার বালাসোরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এছাড়াও আরও একটি যাত্রীবাহী ও একটি পণ্যবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ২৭৫ জনের মৃত্যু এবং ১১০০ জনের বেশি আহত হয়। রাত-ভোর ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলে। সরকার দাবী করছে, আহতদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু যারা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের জন্য বাড়ি যাওয়া পাহাড়ে ওঠার মতো কঠিন হয়ে পড়েছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিহারে তাদের বাড়িতে ফিরে আসা লোকেরা জানিয়েছেন যে, তাদের একটি অ্যাম্বুলেন্সের জন্য ৩২,০০০ টাকা দিতে হয়েছে। বেগুসরাই থেকে কাজে গিয়েছিলেন ৬ জন। কিন্তু বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হন তারা।


এক ব্যক্তি মহম্মদ আলী জানান, সেখানে তার চিকিৎসা হচ্ছিল না, সেজন্য তারা একটি অ্যাম্বুলেন্স নেন, যার জন্য ৩২ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে। দুর্ঘটনার পর সেই ভয়াবহ দৃশ্য দেখে তার আত্মা কেঁপে ওঠে। তিনি বলেন, এখানে-ওখানে অনেক দেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন এসে আমাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর সেখানকার লোকজন আমাদের অ্যাম্বুলেন্সের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন এবং আমরা ৩২,০০০ টাকা দিয়ে বাড়ি পৌঁছে যাই।


মহম্মদ আলী আরও জানান, অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা এমনও বলেছেন যে, মৃতদেহ সঙ্গে থাকলে আলাদাভাবে টাকা দিতে হবে, তারা মৃতের জন্যও আলাদা বিভাগ তৈরি করেছিলেন। অর্থাৎ মৃতদেহের ধরণ অনুযায়ী টাকা দিতে হবে। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, তাঁদেরও মৃতের মধ্যে গণনা করা হচ্ছে তা দেখেই বোঝা যায়।' তবে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad