মোদীর নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বজুড়ে হাহাকার
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৩ জুলাই: সম্প্রতি ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার।এই কারণে আমেরিকা সহ অনেক দেশে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। দোকানে যেন চাল কেনার ধুম পড়ে গিয়েছে। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক দেশ যখন রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, তার মানে আন্তর্জাতিক স্তরে চালের দাম বাড়তে চলেছে, এমনকি চালের আকালও পড়তে পারে। এই জন্য আমেরিকায় চাল স্টক করা শুরু হয়েছে।
নন বাসমতি হোয়াইট রাইসের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে, এটা শুনে মনে হতে পারে এই ব্যান বা নিষিদ্ধকরণ এতটাও কঠোর নয়। কিন্তু বাসমতি রাইস যা আমরা রপ্তানি করি এটা ২০-৩০ শতাংশ, যা এখন ভারত নিষিদ্ধ করেছে। এতে সমগ্র ভারতের ৮০ শতাংশ চাল রপ্তানিতে প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে ভারতের এই সিদ্ধান্ত ম্যাটার করবে। কারণ ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাল রপ্তানিকারক। বিশ্বে চাল রপ্তানির ৪০ শতাংশ পূরণ করে ভারত। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এতটা চাল রপ্তানি করলেও উৎপাদনের ক্ষেত্রে চায়নার থেকে পিছিয়ে। এরপরেও বিগত কয়েক বছরে চায়নাকে ভারত থেকে চাল আমদানি করতে হয়েছে।
ভিয়েতনামও চালের ভালো রপ্তানিকারক, কিন্তু এরপরেও ২০২১ সালে প্রথমবার ভারতের থেকে চাল কিনতে শুরু করে। আর এখন জাপান, সাউথ কোরিয়া, চায়নাতেও ভারতের চালের চাহিদা বাড়ছে স্বাদের কারণে।
অনেক কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করার জন্য বিশ্ব জুড়ে চালের দাম আকাশছোঁয়া হতে পারে।
কিন্তু ভারত কেন চাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে?
এর কারণ এল নিনোর হুমকি - এল নিনোর কারণে কৃষকদের ক্ষতি হতে পারে। কোস্টাল এলাকায় ঝড়ও ওঠে। অর্থাৎ আবহাওয়ায় বড়সড় রদবদল হতে পারে। ফলে বিশ্ব জুড়ে চাল উৎপাদনে এটি প্রভাব ফেলবে। তাই দেশবাসীর কথা ভেবে ভারত আগে থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আর এতে করে বিশ্ব জুড়ে আরও বাড়বে চালের দাম। আর ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্ৰামের রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ দ্যা কঙ্গো সহ অনেক দেশে শষ্য বা খাবারের ঘাটতি হবে।
No comments:
Post a Comment