মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তোলপাড়! ২৪ ঘন্টায় দুবার পুলিশের উপর হামলা, মৃত্যু হোম গার্ড জওয়ানের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৫ জুলাই : বিহারে মদ নিষিদ্ধের কড়াকড়ির মধ্যে আবগারি পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা থামার নামই নেই। পূর্ব চম্পারণ জেলায় ২৪ ঘন্টায় মধ্যে দুবার হামলার শিকার হয়েছে পুলিশের একটি দল। সোমবার রাতে আবগারি দফতরের দল তাকে মদ খাওয়ার ঘটনায় ধরার পর গ্রামবাসীরা বিষুনপুরের এক ব্যক্তিকে আক্রমণ করে। মানুষের মারধরের জেরে মৃত্যু হল হোমগার্ড জওয়ানের। এর আগে, পিপরা থানা এলাকার সারিয়াতপুর তুরহা টলি গ্রামে মদ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে যাওয়া পুলিশ দলকে গ্রামবাসীরা পাথর ছুড়ে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
তথ্য অনুযায়ী, বিষুনপুরের এক ব্যক্তি মদ খেয়ে আসছিলেন তখন সোমবার রাতে তল্লাশিকালে পণ্য দলের হাতে ধরা পড়ে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় লোকজন। আবগারি পুলিশকে আক্রমণ করে গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের মারধরে গুরুতর জখম হন হোমগার্ড জওয়ান। তাকে চিকিৎসার জন্য ঘোড়াসাহান পিএইচসিতে আনা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত জওয়ান হৃদয় নারায়ণ রাই থানা এলাকার রেঙ্গানিয়ার বাসিন্দা।
অপরদিকে, পিপরা থানার অন্তর্গত শরীয়তপুর তুরহা তলি গ্রামে রবিবার গভীর রাতে মদ চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে গ্রামবাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে। এতে একজন এসআই সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তদের বাঁচাতে গ্রামে অভিযান চালায় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপের অভিযোগে ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে। একই সময়ে, ৪৬ জনের নাম ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে FIR নথিভুক্ত করা হয়েছে।
থানা সভাপতি সুনীল কুমার জানান, মদ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলাকালে শরীয়তপুর বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে এক অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। কিন্তু বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এসআই সূর্যদেব প্রসাদ, চৌকিদার দিবাকর ও দুই নারী পুলিশ আহত হন। ঘটনার পর অধিকাংশ নারী পুরুষ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেছে। থানা প্রধান জানান, পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলার মামলা তদন্ত করে ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment