ধড়-মুণ্ডু আলাদা! লেপার্ডের আক্রমণেই বৃদ্ধার এই পরিণতি, নাকি নেপথ্যে অন্য রহস্য?
নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার, ২৮ আগস্ট: লেপার্ডের আক্রমণেই দু'ভাগ হয়ে গেল বৃদ্ধার ধড় ও মুণ্ডু! এমনই দাবী গ্রামবাসীদের। পুলিশও অনেকটাই একমত। কিন্তু ওই ঘটনার সত্যতা মানতে নারাজ বনকর্তারা। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা থানার জটেশ্বর ফাঁড়ির অন্তর্গত অতীতপাড়া ব্যাঙকান্দিতে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাত নটার পর রাতের খাবার সেরে বাসন ধুতে ক-লতলায় যান বৃদ্ধা সরদিনী রায়, বয়স ৬৫ বছর। আচমকাই অন্ধকারের মধ্যে তাঁকে কোনও এক বন্য প্রাণী টেনে নিয়ে যায় বলে দাবী স্থানীয়দের৷ এলাকাটি জলপাইগুড়ি বনবিভাগের দলগাঁও জঙ্গল লাগোয়া।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতর ও জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ। যৌথ তল্লাশিতে রাত ১১.৩০ নাগাদ বাড়ির থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরত্বে ওই মহিলার মুণ্ডহীন দেহ ঝোপের আড়াল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ও বন দফতর। সারা রাত খুঁজেও মাথার সন্ধান মেলেনি। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচ মিটার দূরে তাতাসি নদীর ধারে জঙ্গলের মধ্যে ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই জোরালো হয় লেপার্ডের মাথা খুবলে নেওয়ার তত্ত্ব।
ধর থেকে মুণ্ডুটি যেভাবে আলাদা হয়েছে, তা দেখে পুলিশ নিশ্চিত যে, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধড় ও মুণ্ডু আলাদা করা হয়নি বরং ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। আর এই নিয়ে পুলিশ ও বনকর্তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা পাড়াকে। সঙ্গে ব্যাপক উত্তেজনাও রয়েছে এলাকায়। সাবধানতার জন্যে বন দফতরের তরফে এলাকায় পাতা হয়েছে খাঁচা। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে দলগাঁও রেঞ্জ সূত্রে জানানো হয়েছে
No comments:
Post a Comment