রিমোট সেন্সিং এবং ইমেজ ম্যাচিং-এর মতো প্রযুক্তি দিয়ে র্যাগিং বন্ধ করবে ইসরো!
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২৫ আগস্ট, কলকাতা : যাদবপুরের ছাত্রের মৃত্যুতে গোটা রাজ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। র্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। একই সময়ে, এই সবের মধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা বলেছেন ISRO চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার, তিনি প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলি ব্যবহার করে র্যাগিং বন্ধ করার বিষয়ে ISRO চেয়ারম্যানের সাথে বিশদভাবে কথা বলেছেন। রাজভবন সূত্রে জানা গেছে, ভিডিও বিশ্লেষণ, ছবি ম্যাচিং, স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য বিনোদন এবং রিমোট সেন্সিং-এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে র্যাগিং বন্ধ করার কথা বলেছে ISRO।
রাজভবন সূত্র থেকে আরও জানা গেছে যে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সিভি আনন্দ বোস ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে র্যাগিং মুক্ত করতে প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে উভয়েই আলোচনা করেন।
রাজ্যপাল শুধু ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গেই নয়, হায়দরাবাদের একটি সংস্থার সঙ্গেও এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। রাজ্যপাল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর এবং সম্প্রতি র্যাগিংয়ের ঘটনা বাংলায় তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
রাজভবনের সূত্র জানিয়েছে, ISRO এবং হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক সংস্থা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্র যেমন ভিডিও বিশ্লেষণ, চিত্র ম্যাচিং, স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য পুনরুদ্ধার এবং রিমোট সেন্সিং ব্যবহার করে সমস্যার একটি উপযুক্ত সমাধান খুঁজতে রাজভবনের সাথে যোগাযোগ করেছে।
সম্প্রতি, চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণের পর রাজ্যপাল ফোনে ইসরোর নির্বাচিত এস সোমনাথকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, ইসরো যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে র্যাগিং বন্ধ করতে সাহায্য করতে পারে কিনা তা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার রাজ্যপাল বলেন, 'উন্নত প্রযুক্তি ক্যাম্পাসে র্যাগিং বন্ধ করতে সাহায্য করবে।' রাজ্যপাল বলেন যে ইসরোর উন্নত প্রযুক্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ করতে সাহায্য করবে। আজ হাওড়া স্টেশনে এই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বসু।
এ দিন তিনি হাওড়া স্টেশন থেকে একটি বিশেষ ট্রেনে মালদার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে তিনি মিজোরামে নিহত অভিবাসী শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করবেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পরপরই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সেখানে গিয়ে নিহত ছাত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
নিহত ছাত্রের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একের পর এক ধাপ শুরু করেন রাজ্যপাল। বুদ্ধদেব সাভকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গভর্নর তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর সিভি আনন্দ বোস ইতিমধ্যেই নতুন উপাচার্যের সঙ্গে র্যাগিং বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
ইউজিসি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং প্রতিরোধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে পর্যায়ক্রমিক রিপোর্ট চেয়েছে। যাদবপুর রিপোর্ট নিয়ে ইউজিসিকেও বহুবার অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
তবে বিভিন্ন মহলের চাপের পর উপাচার্য ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তবে র্যাগিং বন্ধে সুপ্রিম কোর্ট ও ইউজিসির নির্দেশনা পুরোপুরি মানা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, আপাতত হোস্টেলের গেট ও ক্যাম্পাসের গেটে সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সিসিটিভি বসানোর বিষয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও কথা চলছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে জানতে চাওয়া হয় সিসিটিভি বসাতে মোট খরচ কত হতে পারে? ওয়েবেল সিসিটিভি লাগানোর জন্য ৩৭ লক্ষ টাকা অফার করেছে।
No comments:
Post a Comment