ট্রেন দুর্ঘটনা কেড়ে নিল মা-মেয়ের প্রাণ, দুর্গা পুজো উপলক্ষে তিনসুকিয়া যাচ্ছিল পরিবার
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর: বিহারের বক্সারে ঘটে যাওয়া ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ হারালেন মা-মেয়ে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আসামের তিনসুকিয়া জেলায় তাদের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেসে চড়েছিলেন এক যুব দম্পতি এবং তাদের আট বছরের যমজ কন্যারা। ভাবতেও পারেননি যে, এটাই তাদের মধ্যে দুজনের যাত্রা শেষ হবে।
বিহারের বক্সার জেলায় বুধবার রাত ৯ টা ৩৫ নাগাদ ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় দীপক ভান্ডারি ও তাদের এক মেয়ে রক্ষা পেলেও, অপর মেয়ে আকৃতি এবং দীপকের স্ত্রী ঊষা ভান্ডারি (৩৭) প্রাণ হারান। দিল্লীর একটি হোটেলে কাজ করা এই দম্পতি, তাদের শেষ ভ্রমণের পর থেকে অর্থ সঞ্চয়ের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টার পরেই তিনসুকিয়া এলাকার সাদিয়ায় ঊষার পৈতৃক বাড়িতে দুর্গা পূজার ছুটির পরিকল্পনা করেছিলেন।
তিনসুকিয়ার সাদিয়া মহকুমার চাপাখোয়ায় ওই মহিলার প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছেন। এক প্রতিবেশী জানান, দম্পতি দিল্লীর একটি হোটেলে কাজ করত এবং পরিবার ছুটি কাটাতে বাড়িতে আসছিল।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জনসংযোগ আধিকারিক দীপক ডেকা জানিয়েছেন, ঊষা ভান্ডারি ও তাঁর মেয়ে আকৃতির মৃতদেহ আনা হচ্ছে। ডেকা বলেন, 'রেলওয়ে সবকিছুর ব্যবস্থা করেছে এবং একজন আধিকারিকও অ্যাম্বুলেন্সে তার সঙ্গে আছেন। আমরা ক্রমাগত গাড়ি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছি।'
ইস্ট সেন্ট্রাল রেলওয়ের যাত্রা টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) নবীন কুমার, যিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে যাচ্ছেন, বলেন যে তারা দুপুর ১.৪৫-এ যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং ১৪৫০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। কুমার অ্যাম্বুলেন্স থেকে ফোনে পিটিআই-কে বলেছেন, “দীপক এবং তার এক মেয়ে আমাদের সাথে একটি এসইউভিতে যাচ্ছে। তিনি আহত নন, তবে অত্যন্ত মর্মাহত।"
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দুর্ঘটনায় ঊষা ভান্ডারি ও তাঁর মেয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রাজস্থানের নরেন্দ্র কুমার (২৭) এবং বিহারের পূর্ণিয়ার আবু জায়েদ (২৭)ও দুর্ঘটনায় মারা যান।
No comments:
Post a Comment