গোবর দিয়ে তৈরি ভগবান গণেশের ৫০০ বছরের পুরোনো মূর্তি

 

গোবর দিয়ে তৈরি ভগবান গণেশের  ৫০০ বছরের পুরোনো মূর্তি

প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৬অক্টোবর : মধ্যপ্রদেশের আগর মালওয়া জেলার নলখেদার প্রধান মোড়ে রয়েছে ভগবান গণেশের একটি অতি প্রাচীন মন্দির । আর এই মন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল গণেশের মূর্তি।  এটি প্রধানত গোবর দিয়ে তৈরি।  তাই মূর্তিটিকে গোবরের গণেশ বলা হয়।  প্রাচীনকাল থেকেই এই মন্দিরটি ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।  এই অতি প্রাচীন মন্দিরে ভগবান গণেশের পাশাপাশি ঋদ্ধি-সিদ্ধিও রয়েছে।  গোবর দিয়ে তৈরি এই শ্রী গণেশ তাঁর ভক্তদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করেন।

 সেই সঙ্গে এই মোড়ের নামও রাখা হয়েছে গণেশ দরজা।  গণেশ পূজোর সময়, গণেশ দরজায় অবস্থিত এই গণেশ মন্দিরে ঋদ্ধি-সিদ্ধির সঙ্গে ভগবান গণেশের বিশেষ পূজো করা হয়।  বিপুল সংখ্যক ভক্তও এখানে দর্শনের জন্য আসেন।

 কথিত আছে যে ভগবান শ্রী গণেশের এই মূর্তিটি গোবর দিয়ে তৈরি যা পাঁচশো বছরেরও বেশি পুরনো।  নলখেদা শহরটি রাজা নল প্রতিষ্ঠা করেন।  রাজা নলের নামের আগে এই শহরের নাম রাখা হয় নল নগর।  পরে কালক্রমে শহরের নাম হয় নলখেদা।  যেখানে শ্রী গণেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়।  আগে এখানে শহরের প্রধান ফটক ছিল।  এই পথ দিয়ে শহরে প্রবেশ করা যায়।  শহরের চারপাশে একটি বড় প্রাচীর ছিল যার নাম ছিল নগর কোট।

 প্রাচীনকালে শহরের প্রধান ফটকে এখানে গোবর দিয়ে তৈরি ১০ ফুট উঁচু মূর্তি স্থাপন করা হয়েছিল।  যা প্রাচীনকাল থেকেই ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে আছে।  কে এই মূর্তিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার ইতিহাস কোথাও পাওয়া যায় না, তবে প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, ৫০০ বছরেরও বেশি আগে এর প্রতিষ্ঠার প্রমাণ অবশ্যই রয়েছে।

 নলখেদাতে মা বগলামুখী মন্দিরও রয়েছে, পিতাম্বরা মাতার সিদ্ধপীঠ স্থান, যা একটি অতি প্রাচীন মন্দির।  যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য ভগবান কৃষ্ণের নির্দেশে পাণ্ডবরা এটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।  তাই দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও বিপুল সংখ্যক ভক্ত এখানে আসেন।

 ভগবান শ্রী গণেশ এখানে ঋদ্ধি সিদ্ধির সঙ্গে বসে আছেন।  মূর্তির কাছে ইঁদুরেও রয়েছে।  কথিত আছে, দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা মঙ্গলমূর্তি গোবর গণেশের কাছে তাদের ইচ্ছা নিয়ে আসেন।  ভগবান গণেশ সকলের ইচ্ছা পূরণ করেন।