জানেন কী কখন কফি পান করা উচিৎ নয়?
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৬ অক্টোবর: অনেকেই চায়ের চেয়ে কফি পান করতে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু কফিও একটা সময় পরে ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে। তবে কফিতে পাওয়া ক্যাফেইন এমন একটি যৌগ যা মনকে সতর্ক করতে অনেক সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটি শরীরে ডোপামিনের মাত্রাও ঠিক করে। কিন্তু বলা হয়ে থাকে যে সব কিছু সবার জন্য ভালো নয়। এক্ষেত্রেও তাই; একজন ব্যক্তির জন্য কফি ভালো কিন্তু অন্যদের জন্যও উপকারী হবে এমনটাও নয়। আসুন এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক কার জন্য কফি ভালো এবং কাদের এর থেকে দূরে থাকা উচিৎ।
অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার থাকলে
অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত রোগীর অল্প পরিমাণে কফি পান করা উচিৎ। কারণ এতে তাদের স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে। অতিরিক্ত কফি পান করলে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে, যা প্যানিক অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি মানসিক চাপও বাড়াতে পারে। এ কারণে অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগের আশঙ্কা থাকে।
অস্টিওপরোসিসের রোগী
অস্টিওপোরোসিসের ক্ষেত্রে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। কফি পান করলে হাড়ের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এটি আপনার নিরাময় প্রক্রিয়ায় খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। ২০২২ সালে অস্টিওপোরোসিস ইন্টারন্যাশনাল-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, খুব বেশি কফি পান করলে হিপ ফ্র্যাকচার হতে পারে। অতিরিক্ত কফি পান করলে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়ে।
উচ্চ রক্তচাপের রোগী
উচ্চ রক্তচাপের রোগীর ভুল করেও কফি পান করা উচিৎ নয়। নিম্ন রক্তচাপের লোকদের জন্য এটি ঠিক আছে তবে উচ্চ রক্তচাপের লোকদের কফি থেকে দূরে থাকা উচিৎ। এটি ঘুমকে অনেক প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে অনিদ্রার আশঙ্কাও থাকে। নিদ্রাহীনতা এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এমন রোগীর হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য কফি পান করা ঠিক নয়।
গর্ভাবস্থা
গর্ভাবস্থায় খুব বেশি চা-কফি পান করা ভালো নয়। ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ক্যাফেইন ঠিক আছে কিন্তু তার বেশি নয়। গর্ভাবস্থায় অত্যধিক চা এবং কফি পান আপনার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। এছাড়াও, শিশুর ওজনও কমতে পারে।
No comments:
Post a Comment