ইসরায়েল হামলাটিকে দ্বিতীয় ৯/১১ বলে অভিহিত রাষ্ট্রদূত নর গিলনের
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১২ অক্টোবর : ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাস সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার কৌশল নিয়ে ক্রমাগত কাজ করছে। কিন্তু ইসরাইল হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার হামলার সম্মুখীন হচ্ছে। দুই পক্ষের মৃতের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়েছে। হামাসের হামলায় নিহত ইসরাইলি বেসামরিক মানুষের সংখ্যা ১২০০ ছাড়িয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ক্রমাগত গাজায় হামলা চালাচ্ছে।
একটি সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নর গিলন বলেন যে, "হামাসের হামলার পেছনে ইরান রয়েছে। এতে ইরানের উদ্দেশ্য ও কৌশল উন্মোচিত হয়েছে।" নর গিলন বলেন, হামাস সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ ইসরায়েলে বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে। হামাস ইসরায়েলের ৩০টিরও বেশি কমিউনিটি সেন্টারে অনুপ্রবেশ করেছে। এর জেরে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলেও দাবী করা হচ্ছে।
হামাসকে হামলার জন্য উস্কানি দেওয়া হয়েছিল
তিনি বলেন, "তাদের কারণেই ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত চলছে। পিস পার্টির গণহত্যায় প্রায় ২৬০ জন নিহত হয়েছে। " গিলন আরও বলেন যে, "হামাস সন্ত্রাসীরা নারীদের ধর্ষণ, মেয়েদের অপহরণ ও খুনের জন্য পরিচিত। এই সন্ত্রাসীরা দক্ষিণ এশীয়, আমেরিকান এবং ইউরোপীয় নাগরিকদের অপহরণ করে এবং শিশুদের খুন করে এবং নির্যাতন করে।"
এই কথোপকথনের সময় নর গিলনও স্বীকার করেছেন যে মনে হচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। গিলন স্বীকার করেছেন যে গাজা হামাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি ইসরায়েলি সন্ত্রাসী হামলাকে আরেকটি ৯/১১ হামলা বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "ইসরাইল মধ্যপ্রাচ্যে উদারপন্থী শক্তির সেবা করছে যেখানে অস্থিতিশীলতার পেছনে ইরান রয়েছে।" তিনি বলেন, "আইডিএফ (ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স) সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করছে। গাজায় আইডিএফ বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে।"
No comments:
Post a Comment