অহিন্দু প্যান্ডেলে ঢুকলেই গঙ্গাজলের ছিটে, কপালে তিলক! দাবী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ অক্টোবর : মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে শুরু হয়ে গেছে আসন্ন নবরাত্রির প্রস্তুতি। এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি দাবী শিরোনামে। কাউন্সিল পুলিশ সুপারের কাছে দাবী করেছে যে গরবা প্যান্ডেলে অহিন্দুদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সব প্যান্ডেলের বাইরে বায়োমেট্রিক মেশিন বসাতে হবে। সেই সঙ্গে প্যান্ডেলে কোনও অহিন্দু প্রবেশ করলে তাকে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। তার গায়ে তিলক লাগানো হবে এবং তাকেও রাস করানো হবে।
এসপি অফিসে পৌঁছে বিপুল সংখ্যক বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা জানিয়েছেন যে পূজা প্যান্ডেল এবং গরবা প্যান্ডেলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে সব প্যান্ডেলের বাইরে বজরঙ্গি ও লাঠাইত মোতায়েন থাকবে। প্যান্ডেলে বিপুল সংখ্যক হিন্দু মা-বোনেরা আসেন বলে জানান। এমন পরিস্থিতিতে অহিন্দুরা এসে আপত্তিকর কাজ করে। এটি সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। এগুলো বন্ধ করার জন্য এসব ব্যবস্থা নেওয়া খুবই জরুরি।
১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। তা দেখে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের শতাধিক কর্মী পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছান। এসপিকে স্মারকলিপি দেওয়ার পরে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দপ্তরের মন্ত্রী পঙ্কজ শিবাত্রী দাবী করেন যে গরবা প্যান্ডেলে অহিন্দুদের প্রবেশ বন্ধ করা উচিৎ। প্যান্ডেলে শুধু হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারে এমন ব্যবস্থা থাকা উচিৎ। তিনি তার দাবিপত্রে বলেন যে কোনও অহিন্দুকে কোনও প্যান্ডেলে ঢুকতে ধরা পড়লে তাকে গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করা হবে।
এছাড়াও সিঁদুর দিয়ে তিলক লাগিয়ে গরবা রাস করা হবে। এ জন্য অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে মোতায়েন করা হচ্ছে বজরঙ্গী, লাঠাইত ও মাতৃশক্তি। অন্যদিকে, ডেপুটি পুলিশ সুপার সূর্যকান্ত মৌর্য বলেন, "জবলপুরকে সংস্কৃতিধানি বলা হয়। এখানে সকল উৎসব সম্প্রীতির সাথে পালিত হয়। জাঁকজমকপূর্ণ ও শান্তিপূর্ণভাবে নবরাত্রি উৎসব সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রশাসনও ব্যস্ত। উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত রয়েছে।"
No comments:
Post a Comment