সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়! একের পর এক বুকিং বাতিল, পুজোর মুখে পর্যটনে বিরাট ধাক্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি, ০৭ অক্টোবর: সিকিমে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জের, পুজোর মুখে পর্যটনে বিরাট ধাক্কা, বুকিং বাতিল করছেন পর্যটকরা। পাহাড় ছেড়ে ডুয়ার্সের জঙ্গলমুখী হতে পারেন পর্যটকরা, আশাবাদী ট্যুর অপারেটররা।
পুজোর মুখেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়, সিকিম সহ ডুয়ার্সের পর্যটনে বিরাট ধাক্কা। সিকিমে ভয় ধরানো বিপর্যয়, তিস্তার ভয়ঙ্কর রূপ দেখে আতঙ্কিত পর্যটকরা। এই মুহূর্তে সিকিম এবং তরাই-ডুয়ার্সের পাহাড়ি পর্যটন কেন্দ্রগুলি থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন পর্যটকরা। বিভিন্ন হোটেল রিসোর্টের অগ্রিম বুকিং বাতিল করছে বহু পর্যটক। জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০০-র ওপরে পর্যটকদের বুকিং বাতিল, এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা।
পুজোর মরশুমে প্রতিবছর ডুয়ার্স এবং পাহাড়ে ঢল নামে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। এই বছর ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, গ্যাংটক, দার্জিলিং সহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের বুকিং দেখে আশায় বুক বেঁধেছিলেন জলপাইগুড়ির ট্যুর অপারেটর এবং পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সিকিমে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি এবং বিপর্যয়ের পর যেভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তাতে অনেক পর্যটকই বুকিং বাতিল করছেন। আর এর জেরেই ক্ষতির মুখে পড়তে হবে পর্যটক ব্যবসায়ীদের।
তবে এবছর পাহাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পর্যটকরা মুখ ফেরালেও ডুয়ার্সের জঙ্গল, নদী, চা বাগান মুখী হবেন বলে আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জলপাইগুড়ির পর্যটন ব্যবসায়ী এবং ট্যুর অপারেটরদের কথায়, 'অনেকেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং সেই আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পর্যটক বুকিং বাতিল করছে। প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে বুকিং বাতিলের সংখ্যা। পর্যটকদের আতঙ্ক দূর না হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে পর্যটন শিল্পকে। আতঙ্ক দূর হলে পর্যটন শিল্প আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
No comments:
Post a Comment