টলিউডে চলে ফেভারেটিজম! স্বজনপোষণ নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী স্নেহা ?
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১০ নভেম্বর: ভীষণ স্পষ্টবাদী এবং দুর্দান্ত একজন নায়িকা হলেন স্নেহা চট্টোপাধ্যায়। তেমনভাবে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় না করলেও স্নেহা যে সমস্ত পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেছেন তা বারবার মুখ্য চরিত্রকে ছাপিয়ে গেছে। সুবর্ণলতার সেজ বউ হোক অথবা ইন্দুবালার লছমী, সব ক্ষেত্রেই স্নেহা অসাধারণ। সম্প্রতি কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকেও স্নেহার অভিনয় সকলকে ছাপিয়ে গেছে।
এখানে ‘আকাশ নীল’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ভুতু, ‘বিকেলে ভোরের ফুল’, ‘নকশি কাঁথা’, ‘কুসুম দোলা’, ‘জল নূপুর’ সহ বেশ কয়েকটি ধারাবাহিককে অভিনয় করেছেন তিনি। ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘ধর্ম যুদ্ধ’, ‘শুধু তোমারই জন্য’, ‘বিসমিল্লাহ,’ ‘তন্দুরি ‘ সহ কিছু সিনেমাতে অভিনয় করেছেন স্নেহা।
ক্যারিয়ারের শুরু তিনি করেছিলেন উপস্থাপনা দিয়ে। এরপর যখন তিনি ধারাবাহিকে কাজ করার জন্য চেষ্টা করেন তখন বাড়ি থেকে আপত্তি তোলা হয় কারণ অভিনয় জগতে তিনি প্রবেশ করবেন এমনটা চাননি স্নেহার বাড়ির কেউই। তবে সকলকে রাজি করে অবশেষে নন ফিকশন শো ভ্যাবাচ্যাকা-র মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন তিনি। সাংবাদিক সংলাপ ভৌমিককে বিয়ে করে ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি।
১০ বছর বিবাহিত জীবন কাটানোর পর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন স্নেহা। মাতৃকালীন ছুটি শেষ করে যখন তিনি কাজে ফিরে আসেন তখন সেই সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল স্নেহার। সন্তান যখন বলে, মা আজকে কাজে যেও না, সেই ডাক উপেক্ষা করে কাজে যাওয়াটাই যে কোন মায়ের পক্ষে ভীষণ চ্যালেঞ্জের একটি বিষয়।
স্নেহা চিরকালই স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন। ব্যক্তিগত জীবন থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার সব ক্ষেত্রেই তিনি ভীষণ স্পষ্টবাদী। সম্প্রতি টলিপাড়ার স্বজনপোষণ নিয়ে ঠিক তেমনি কিছু কথা বললেন তিনি। স্নেহা বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পরে শুনেছিলাম যে এখানে ফেভারিটিজম থাকে এবং দেখেওছিলাম সেটা। অনেকে হয়তো এটিকে অন্যায় বলেই ধরে নেবে কিন্তু আমি মনে করি না এতে অন্যায়ের কিছু আছে।
তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকটা হাউস একেকটা করে আর্টিস্ট ব্যাংকিং নিয়ে কাজ করে। অন্য হাউসের সঙ্গে আর্টিস্টের ডেট শেয়ারিং করতে নানা রকম সমস্যা হয় এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই সমস্যা এড়িয়ে চলার জন্য প্রত্যেক হাউস নিজের মতো করে আর্টিস্ট ব্যাংকিং তৈরি করে সেখানে কিছুটা স্বজনপোষণ চলেই আসে। বিষয়টা আমি নেতিবাচকভাবে দেখি না।
No comments:
Post a Comment