পোল্ট্রি ফার্মের যত্নের উপর বিশেষ নজর!
রিয়া ঘোষ, ০৫ নভেম্বর ; ভাল মুনাফা অর্জনের জন্য মুরগি পালন একটি দুর্দান্ত ব্যবসা হতে পারে। কম খরচে এবং টাকার প্রাপ্যতা অনুযায়ী এটি শুরু করা যায়। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে কিছু বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কারণ হাঁস-মুরগির খামারে রোগ সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
উমে বসানো মুরগির যত্ন প্রয়োজন। মুরগির সামনে সবসময় খাবার এবং জলের একটি বাটি রাখুন যাতে এটি খুশি মত খেতে পারে। তাহলে মুরগির ওজন কমবে না এবং ছানা বের হওয়ার পরপরই ডিম পাড়া শুরু করবে।
ডিম পাড়ার ৭-৮ দিন পর রাতে আলোর নিচে পরীক্ষা করা হলে ডিম শনাক্ত ও অপসারণ করা যায়। ডিম সুন্দর করে সাজাতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে মুরগি যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়। প্রতিটি ডিম সমানভাবে গরম করা উচিৎ এবং দিনে কমপক্ষে ৫-৬ বার উম দেওয়া উচিৎ।
বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকলে, বিশেষ করে খুব গরম এবং ঠান্ডা আবহাওয়ায়, ডিম পাড়ার ১৮-২০ দিন পর্যন্ত, কুসুম গরম জলে ভিজিয়ে জল ছিটিয়ে দিতে হবে। হ্যাচিং এর ৫-৬ ঘন্টা পরে, মা ছানাকে উম দিতে হবে। এটি ছানাকে শুষ্ক ও পরিষ্কার করে তুলবে।
মুরগিকে ঘেরে রাখতে হবে।
শুধুমাত্র মুরগির যত্ন নেওয়া ব্যক্তিকে মুরগির কাছাকাছি যেতে দেওয়া উচিৎ।
অপ্রয়োজনীয় লোকদের ঘেরে প্রবেশ করতে দেওয়া উচিৎ নয় এবং মুরগিকে অন্য প্রাণী ও পাখির সংস্পর্শে আসতে দেওয়া উচিৎ নয়। মুরগির সংস্পর্শে আসা প্রতিটি বস্তুর পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিতে হবে।
মুরগি রাখার স্থান এবং তার আশেপাশের এলাকা পরিষ্কার করার সম্পূর্ণ যত্ন নিতে হবে, যাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এড়ানো যায়।
প্রতিদিন মুরগির খাবার ও জল পরিবর্তন করতে হবে।
মুরগির খাঁচা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
নতুন মুরগিকে অন্তত ৩০ দিনের জন্য সুস্থ মুরগি থেকে দূরে রাখতে হবে।
যেকোনও রোগের বিস্তার রোধ করতে মুরগির সংস্পর্শে আসার আগে ও পরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি কাপড় ও জুতা পরিষ্কার করে সংক্রমণমুক্ত করতে হবে।
No comments:
Post a Comment