ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে শরীরে দেখা দিতে শুরু করে এইসকল লক্ষণ, উপেক্ষা করলেই বাড়বে সমস্যা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ০৫ নভেম্বর: শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের অনেক ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন। ম্যাগনেসিয়ামও তার মধ্যে একটি। ম্যাগনেশিয়াম একটি খনিজ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই একে 'মাস্টার মিনারেল' বলা হয়। এটি পেশী এবং হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। এছাড়াও, হৃৎপিণ্ডের সঠিক কার্যকারিতার জন্য ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন।
একজন প্রাপ্তবয়স্ককে প্রতিদিন ৩৬০-৪১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম গ্রহণ করতে হবে। ম্যাগনেশিয়াম খাওয়া কমিয়ে দিলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়। এমন কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা বোঝায় যে শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি রয়েছে। আর এগুলো উপেক্ষা করা একেবারেই উচিৎ নয়। লক্ষণগুলো হল-
রাতে পায়ে ক্র্যাম্প বা খিঁচুনি- ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির সবচেয়ে সাধারণ উপসর্গগুলির মধ্যে একটি হল পেশীতে খিঁচুনি এবং মোচড়ানো। ম্যাগনেশিয়াম পেশী ফাংশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে মাংসপেশিতে খিঁচুনি ও মোচড়ানো শুরু হয়। এটি প্রায়ই রাতে ঘটতে পারে।
কাজের পর অতিরিক্ত ক্লান্তি- ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে ক্লান্তি ও দুর্বলতার সম্মুখীন হতে হয়। এই খনিজটি শরীরে শক্তি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে শরীরকে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, যার ফলে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়।
ঘন ঘন মাথাব্যথা- শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রা কম থাকায় ঘন ঘন মাথাব্যথার সমস্যায় পড়তে হয়। তাই, এটি উপেক্ষা করার পরিবর্তে, একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা গুরুত্বপূর্ণ।
হঠাৎ ক্ষিদে কমে যাওয়া- শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের অভাবের কারণে বমি হওয়া, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর কারণে হজমের সমস্যা হতে শুরু করে। ফলে ক্ষিদে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
ঘন ঘন চোখ কাঁপা- ম্যাগনেশিয়াম পেশীগুলিকে শিথিল করে এবং এর ঘাটতির কারণে পেশীগুলিতে প্রচুর চাপ পড়ে। এর ঘাটতির কারণে চোখ ঠিকমতো আরাম করতে পারে না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা- অন্যান্য সমস্ত কাজ ছাড়াও ম্যাগনেশিয়াম মলত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ম্যাগনেশিয়াম অন্ত্রের চলাচল সহজ করতে অন্ত্রে জলের পরিমাণ বাড়ায়। শরীরে ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়তে হয়।
No comments:
Post a Comment