মানি লন্ডারিং মামলায় অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ ইডির
ডায়রেক্ট সেলিং ফার্ম অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া(Amway India)-র বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর। অ্যামওয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে ইডি। এই অভিযোগ ৪,০৫০ কোটি টাকার মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় পিএমএল-এর অধীনে হায়দরাবাদের বিশেষ আদালতে দায়ের করা হয়েছে। এই অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদালত ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বরের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইডির এই তদন্তটি তেলেঙ্গানা পুলিশের দায়ের করা অভিযোগ এবং অ্যামওয়ে ও এর পরিচালকদের বিরুদ্ধে একাধিক এফআইআর-এর ভিত্তিতে করা হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অবৈধ 'মানি সার্কুলেশন স্কিম' প্রচারের অভিযোগ করেছে। এর পাশাপাশি পণ্য বিক্রির আড়ালে সহজে ভর্তির মাধ্যমে উচ্চ কমিশনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইডি পরিচালিত তদন্তে জানা গেছে যে, অ্যামওয়ে ইন্ডিয়ার এই স্কিমটি একটি পিরামিড স্কিম, যার মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয় লোকেরা প্রচুর মুনাফা মিলছিল। এই স্কিমে, নতুন যোগদানকারী সদস্য আরও অনেক লোককে মনোনীত করবে এবং এটি একটি চেইন তৈরি করবে। যত বেশি লোক যোগদান করে, কমিশনের পরিমাণ তত বাড়ে।
ইডি তার তদন্তে দেখেছে যে অ্যামওয়ে এই 'মানি সার্কুলেশন স্কিমের' মাধ্যমে মোট ৪০৫০.২১ কোটি টাকা আয় করেছে। এর সাথে তদন্তে আরও জানা গেছে যে কোম্পানিটি বিদেশে বসে বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্টে ২,৮৫৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছে। এই ক্ষেত্রে, ইডি কোম্পানির ৭৫৭.৭৭ কোটি টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তিও সংযুক্ত করেছে। বর্তমানে এই মামলায় ইডি তদন্ত চলছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পদক্ষেপের পরে, সংস্থাটি স্পষ্ট করেছে যে, এই বিষয়টি ২০১১ সালের অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত। সংস্থাটি এই বিষয়ে তদন্তে ইডিকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা দিচ্ছে এবং তদন্তকারী সংস্থার চাওয়া বিশদও সরবরাহ করছে। সংস্থাটি বলেছে যে এটি ২৫ বছর আগে ভারতে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল এবং দেশের সমস্ত আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সারা দেশে এটির ২,৫০০-রও বেশি কর্মচারী এবং ৫.৫ লাখেরও বেশি পরিবেশক রয়েছে। এমতাবস্থায় কোম্পানি তার সকল মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে।
No comments:
Post a Comment