রান্নায় কাঠের হাতা ব্যবহারের উপকারিতা
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফ স্টাইল ডেস্ক,০৪নভেম্বর:
রান্নার জন্য কোন পাত্র ব্যবহার করছেন তার উপর অনেকাংশে নির্ভর করে খাবারের স্বাদ। অ্যালুমিনিয়াম পাত্র, স্টেনলেস স্টিল বা মাটির হাড়ি-কড়াই থেকে শুরু করে হালফিলের ননস্টিক কড়াই কিংবা তাওয়া, আলাদা আলাদা পাত্রে রান্নার ক্ষেত্রে আসে আলাদা আলাদা স্বাদ। ঠিক একইভাবে রান্নার কাজে কাঠের হাতা কিংবা খুন্তি ব্যবহারে প্রচলনও রয়েছে এবং সেটাও বেশ পুরনো।
কাঠের হাতা বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার থেকে শুরু করে মিষ্টি প্রস্তুতির কাজে ব্যবহার করা হয় । কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন রান্নার কাজে কাঠের হাতা ব্যবহার করার প্রচলন চলে আসছে? রান্নার কাজে এই সরঞ্জাম ব্যবহারের কিন্তু রয়েছে বেশ কিছু গুনাগুন যেগুলো না জেনেই দিনের পর দিন হয়ত আপনি কাঠের হাতা খুন্তি দিয়ে রান্না করে চলেছেন। তাই আজ এই প্রতিবেদনে রইল সেই অজানা প্রশ্নের উত্তর।
এক হল, রান্নাতে অ্যালুমিনিয়াম কিংবা অন্যান্য ধাতু নির্মিত হাতা-খুন্তি ব্যবহার করলে অনেক সময় সেগুলো এতটাই গরম হয়ে যায় যে হাতে ধরা যায় না। সেক্ষেত্রে কাঠের হাতা ব্যবহার করা বেশ নিরাপদ। এটি রান্নাতে সব থেকে কঠিন পরিস্থিতি অর্থাৎ কঠিন তাপ ও চাপ সহজেই সহ্য করে নিতে পারে।
দুই, কাঠের হাতা বাসনে কোনও দাগ ফেলে না। এই কারণেই ননস্টিক প্যান কিংবা কড়াইতে রান্নার ক্ষেত্রে কাঠের হাতা ব্যবহার করা হয়।
তিন, কাঠের হাতা দিয়ে রান্না করাও খুবই সহজ হয়। ভাজা-ভুজির সময় বা মশলা কষানোর সময় কড়াইতে কোনও কিছু আটকে গেলে সেটা সহজেই কোনওরকম স্ক্র্যাচ ছাড়াই তুলে আনা যায়। এই হাতা ব্যবহার করলে বাসনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে আবার রান্নাটাও হয় সহজে।
চার, কাঠের তৈরি হাতা কিংবা খুন্তি অনেক বেশি শক্ত হয়। এগুলো খুব সহজে ভেঙে যায় না। যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি হয়। অনেকেই হয়ত মনে করেন কাঠের যেহেতু তাই ভেঙে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এই ধরনের রান্নার সরঞ্জামের। কিন্তু যারা রান্নার কাজে এগুলো দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছেন তারাই জানেন এর সুবিধা।
No comments:
Post a Comment