কে এই রুপচাঁদ মণ্ডল?
নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ১৮ নভেম্বর: আমডাঙা থানার আমডাঙা পঞ্চায়েতের সোনাডাঙা গাজীপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আলির চার ছেলে। মেজ ছেলে রুপচাঁদ মণ্ডল রাজনীতিতে নামে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বামফ্রন্টের শক্তির বিরুদ্ধে নিজের বুথে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। সেই থেকে নজরে পড়ে নেতৃত্বের।
পুলিশ সূত্রের খবর, নয় সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীর হয়ে আমডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে বিরোধীদের রুখে দিয়েছিলেন রুপচাঁদ। ওই সময় বোমা ফেটে বাম হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাদ দিতে হয় বাম হাতের কব্জি। ১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর জমি ব্যবসা শুরু করে রুপচাঁদ। এর আগে কাঠের ব্যবসা করত সে। শুরুতেই অল্প পরিমাণ জমি কেনা-বেচা করত। মোটা অংকের টাকা আয় করে সে। তৃণমূলের হয়ে অনুন্নত এলাকার নিজের দাপট দেখানোর ফলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পাড়ার প্রবীণরাই প্রার্থী হতে পরামর্শ দেয়।
তৃণমূল সূত্রের দাবী, ১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমডাঙা পঞ্চায়েতের নিজের এলাকার ৫৯ নম্বর বুথের প্রার্থী হতে চায় রুপচাঁদ। দল তাকে প্রার্থী করেনি। তৃণমূল প্রার্থী সফিকুল মণ্ডলকে হারিয়ে চমক দেয়। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলের সংগঠনে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। ২৩ সালে তৃণমূল তাকে প্রার্থী করে। দ্বিতীয় দফায় জেতার পর প্রধান হতে চায় রুপচাঁদ। দলীয় নেতৃত্বকে সেকথা জানায় সে। তৃণমূল সূত্রের দাবী, স্থানীয় বিধায়ক রফিকার রহমান রুপচাঁদকে প্রধান করতে চাননি। অর্জুন সিংয়ের উদ্যোগ আর পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থনে প্রধান হয় সে। সফিকুল এদিন সকাল থেকে পাড়ার ছেলে রুপচাঁদের বাড়ির সামনে বসেছিলেন।
তার কথায়, "রুপচাঁদ ছেলে হিসাবে ভালো। বোদাই পঞ্চায়েতের তোয়েব আলির সঙ্গে দল করত। ওরা এক সঙ্গে জমি ব্যবসা করত। সকালে শুনলাম তোয়েবের ছেলে আনোয়ার আলি গ্রেফতার হয়েছে খুনের ঘটনায়। ও বলেছিল এই পাঁচ বছরে এলাকায় স্কুল খেলার মাঠ করে দেবে। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করবে। পরে আর ভোটে দাঁড়াবে না। রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেব। ওরা মেরে দিল ছেলেটাকে।"
No comments:
Post a Comment