আখের রসের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলো জেনে নিন
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৭ এপ্রিল: আখের রস একটি মিষ্টি এবং সতেজ পানীয়,যা সারা বিশ্বে জনপ্রিয়।এটি ভিটামিন,খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যেগুলো এটিকে স্বাস্থ্যের জন্য একটি ভালো পছন্দ করে তোলে।কিন্তু কিছু লোকের আখের রস পান করা এড়ানো উচিৎ।কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগী:
আখের রসে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে,যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়াতে পারে।ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।তাই তাদের আখের রস পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি:
হাইপোগ্লাইসেমিয়া এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কম হয়ে যায়।আখের রস পান করা হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা আরও কমাতে পারে।যার ফলে মাথা ঘোরা,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং অন্যান্য গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন:
আখের রস ক্যালরি সমৃদ্ধ।এক গ্লাস আখের রসে প্রায় ২৫০ ক্যালরি থাকে।যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের ক্যালরির পরিমাণ কম রাখা উচিৎ,তাই তাদের আখের রস পান করা এড়ানো উচিৎ।
দাঁতের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিরা:
আখের রস অ্যাসিডিক,যা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি করতে পারে।যাদের দাঁতের সমস্যা আছে,যেমন- ক্যাভিটি বা সংবেদনশীল দাঁত,তাদের আখের রস পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি:
কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পটাসিয়াম গ্রহণ সীমিত করতে হয়।আখের রস পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস।তাই কিডনির রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এটি পান করা এড়িয়ে চলা উচিৎ।
যাদের অ্যালার্জি আছে:
কিছু মানুষের আখ থেকে অ্যালার্জি হয়।আখের অ্যালার্জির লক্ষণগুলির মধ্যে আমবাত,ফোলাভাব,চুলকানি এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।আপনার যদি আখ থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে আপনার এটি পান করা এড়ানো উচিৎ।
গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলা:
গর্ভবতী এবং বুকের দুধ পান করানো মহিলাদের আখের রস পান করার আগে তাদের ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিৎ। আখের রস কিছু ওষুধের সাথে যোগাযোগ করতে পারে এবং গর্ভাবস্থায় বা বুকের দুধ পান করানোর সময় এটি নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে সীমিত তথ্য উপলব্ধ রয়েছে।
অন্যান্য সতর্কতা:
আখের রস পান করার আগে আখ সবসময় ভালো করে ধুয়ে নিন।এটি নিশ্চিত করবে যে এতে কোন কীটনাশক বা অন্যান্য রাসায়নিক নেই।
আখের রস পানের পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।এটি দাঁতের এনামেলকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে।
আপনি যদি আখের রস পান করার পর কোনও প্রতিকূল প্রভাব অনুভব করেন,তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে আখের রস পান করা আপনার জন্য নিরাপদ কিনা,তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
No comments:
Post a Comment