খুন হয়েছিল ফয়জানের! দ্বিতীয় ফরেনসিক রিপোর্টে ফাঁস পুলিশের লুকানো রহস্য
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ জুন, কলকাতা : দুই বছর পর IIT খড়গপুরে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় সামনে এসেছে অনেক বড় তথ্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে পরিচালিত দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানা যায় যে ছাত্র ফয়জানের গলায় একটি ছুরির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া তার শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। চলতি বছরের মে মাসে হাইকোর্টে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে হাইকোর্টে শুনানি হতে যাচ্ছে। তার আগে বিশেষজ্ঞ কমিটি চূড়ান্ত রিপোর্ট দিতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডক্টর এ কে গুপ্তার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফয়জানের গলার বাম পাশে ছুরির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ তাদের রিপোর্টে এসব ক্ষত উল্লেখ করেনি। ২০২২ সালের অক্টোবরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পরিচালিত ময়নাতদন্তে কোনও আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি। এরপর ফয়জানের মা রেহানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং তদন্তে এসআইটি গঠনের দাবী জানান।
আদালত ২০২৩ সালের মে মাসে দেহের দেহাবশেষ উত্তোলন এবং দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দেয়। আদালত বলেছিল, ছাত্রের মৃত্যুর পিছনের সত্যতা প্রকাশ করা দরকার। তবে প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফয়জান আত্মহত্যা করেছেন। পরিবার এটা মানতে রাজি ছিল না। ফয়জানের পরিবার জানিয়েছে, আইআইটি খড়গপুর ক্যাম্পাসে ফাইজানকে র্যাগিং করা হয়েছিল এবং তার পর তাকে খুন করা হয়েছে।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও তাদের রিপোর্টে বলেছিলেন যে তার নখের মধ্যে রক্ত পাওয়া গেছে। এ ছাড়া মেরুদণ্ডের কর্ডও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ডাঃ গুপ্তার ময়নাতদন্তে অনেক আশ্চর্যজনক বিষয় রয়েছে। ফয়জান আহমেদের মাথার খুলির একটি হাড়ও পাওয়া যায়নি। এই রিপোর্টে বিষ খেয়ে মারা যাওয়ার তত্ত্বকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ফয়জানের পরিবার বলছে, সে আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment