কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার লাইনে চলে এল মালগাড়ি? কারণ হাতরাচ্ছে রেল
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৭ জুন, শিলিগুড়ি : কীভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের লাইনে মালগাড়ি চলে এল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে রেল।
রেলের আধিকারিকদের নির্দেশ অনুযায়ী উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতাগামী ট্রেনগুলিকে আগে গুরুত্ব দিয়ে পাস করিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই লাইনে আরেকটি ট্রেন দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার ঘটে গেল ব্যতিক্রমী ঘটনা। কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের লাইনে চলে এল মালগাড়ি। নিউ জলপাইগুড়ি সংলগ্ন রাঙ্গাপানি স্টেশনে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তারই কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত প্রায় ৩০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনটি বগিতে আরও কতজন এখনও তাদের জীবনের জন্য লড়াই করছে তা স্পষ্ট নয়। তাই গ্যাস কাটার ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান চালানোর বিষয়ে দুবার ভাবছে উদ্ধারকারী দল। তাই বর্তমানে তারা সম্পূর্ণ ম্যানুয়ালি উদ্ধার কাজ করছেন। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দড়ি বেঁধে ট্রেনের ভাঙা অংশ সরানোর চেষ্টা করছেন।
জানা গেছে, মালগাড়িটি ওভারলোড ছিল। গতিও ছিল বেশ দ্রুত। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসও ছুটছিল ঘন্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার বেগে। পেছন থেকে ধাক্কা লেগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। শেষ কামরাটি একেবারে শূন্যে ভাসছে। পাশের বগিগুলোর অবস্থাও সমান খারাপ। একটা কামরা দুমড়েমুচড়ে উল্টে যায়। ইঞ্জিনের উপরে আরেকটি কামরা উঠে যায়।
এই ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ট্রেন চলাচল বন্ধ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের আধিকারিকরা ও উদ্ধারকারী দল। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনও অনেকের দুমড়েমুচড়ে যাওয়া কামরাতে আটকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment