রেলবোর্ডের কথায় 'মৃত'! বেঁচে আছেন মালগাড়ির সহ-চালক
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৯ জুন, কলকাতা : রেলবোর্ডের কথায় 'মৃত', মালগাড়ির সহ-চালক এখনও জীবিত। শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মালগাড়ির সহকারী চালক। মনু কুমার হাসপাতালে ভর্তি, কীভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করল রেল বোর্ড? রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে থাকলে তার বয়ান নেওয়া হবে।
সোমবার ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস এবং মালগাড়ি উভয়ের চালকদের কি একই লাইনে চলতে দেওয়া হয়েছিল? কেন তা দেওয়া হল? এর দায় কি ট্রেন চালকের নাকি মালগাড়ি চালকের? রাজধানী এক্সপ্রেসের প্রাক্তন চালক ভিবি সিং বলেন, 'বেশিরভাগ দোষ লোকো পাইলটের ওপর চাপানো হবে, তার সব ভুল চাপা দেওয়া হবে।' ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হল শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ফাঁসিদেওয়ায় পেছন থেকে একটি মালগাড়ি ধাক্কা মারে। ধাক্কার কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের বগি মালগাড়ির ইঞ্জিনের ওপর দিয়ে চলে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে রেলের তরফে দুর্ঘটনার মূল কারণ বলা হচ্ছে মালগাড়ি চালককের সিগন্যাল না মানা। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া ভার্মা সিনহা বলেন, 'সংকেত ছিল থামার। তারপরও ট্রেন এগিয়ে গেল। পিছনের ট্রেন থামানো উচিৎ ছিল।' কিন্তু, সংবাদ সংস্থা পিটিআই রেলওয়ের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দাবী করেছে যে সোমবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ রাঙ্গাপানি এবং আলুবাড়ি সেকশনে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালগুলি 'অকেজো' ছিল, কারণ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল বন্ধ থাকার কারণে ট্রেনগুলি খুব ধীর গতিতে চলছিল। মাঝে মাঝে আবার ট্রেন থামাতে হয়েছে।
No comments:
Post a Comment