জমি-জট! টাকা আত্মসাৎ-প্রতারণা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির, নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২১ জুন: বন্ধ হয়ে যাওয়া ইটভাটার লিজে নেওয়া জমি নিয়ে জটিলতা। ইট ভাটার মালিক তথা প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে জমির চুক্তি অমান্য করে টাকা আত্মসাৎ এবং প্রতারণার অভিযোগ। জমি পুনরুদ্ধার করতে গেলে বাধার সম্মুখীন জমিদাতারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী প্রাক্তন ব্লক তৃণমূল সভাপতির। চাঁচল থানায় পৃথক তিনটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।
চাঁচলের মাস্তিপাড়া এলাকায় রয়েছে একটি ইটভাটা। যে ইটভাটা তিন বছর আগে বন্ধ হয়ে যায়। ইটভাটার মালিক চাঁচলের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান, যিনি এর আগে ব্লক তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্বও ছিলেন।মাস্তিপাড়ার স্থানীয় কিছু বাসিন্দার অভিযোগ, ইটভাটার জমির জন্য তাদের কাছ থেকে মুজিবুর রহমান ১০ বছরের চুক্তিতে নির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে জমি নিয়েছিলেন। সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এদিকে তিন বছর আগেই বন্ধ হয়েছে ইটভাটা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তাদের সঠিক শর্ত পূরণ হয়নি। এখনও জমিগুলি থেকে ইটভাটার ঘর, চিমনি কিছুই সরোনো হয়নি। ফলে সেই জমি বর্তমানে তাদের কোনও কাজে লাগছে। একদিকে ইটভাটা বন্ধ হওয়ায় তারা পাচ্ছেন না টাকা। আবার তাদের জমিতে তারা চাষও করতে পারছেন না।
অভিযোগ, বারবার ভাটার মালিককে বললেও তিনি কর্ণপাত করেননি, উল্টে মিলেছে হুমকি। সম্প্রতি ইটভাটার অন্তর্গত একটি জমির মালিক মোঃ মোসলেমউদ্দিন তাঁর জমিকে চাষ যোগ্য করার জন্য মাটি ভরাট করতে গেলে তার পরিবারের লোক এবং যে জেসিবি তিনি ভাড়া নিয়েছিলেন তাদের নামে মুজিবুর থানায় চুরির মিথ্যা অভিযোগ দেন।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, ইটভাটা যখন চালু ছিল সেই সময় অনেকের কাছ থেকে ইটের জন্য অগ্রিম বায়না নিয়েছিলেন তিনি। কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, কারও কাছ থেকে ৬০ হাজার। কিন্তু তারা না টাকা ফেরত পেয়েছেন, না পেয়েছেন ইট। যদিও মুজিবুর রহমানের পাল্টা দাবী সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। ইটভাটা বন্ধ হওয়ার পর তিনি সমস্ত জমির মালিকদের ডেকে চাষ করার কথা বলে দিয়েছিলেন। অনেকে চাষ করছেন। শুধু কয়েকজন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ধরণের চক্রান্ত করছে, যারা এর আগেও বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কাজ কর্মের সঙ্গে যুক্ত। সমগ্র ঘটনা সামনে আসায় শুরু হয়েছে বিতর্ক।
No comments:
Post a Comment