ছোটোখাটো বনের সমান একটি গাছ! কী রহস্য আছে এই বটগাছে? - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday 19 June 2024

ছোটোখাটো বনের সমান একটি গাছ! কী রহস্য আছে এই বটগাছে?

 




ছোটোখাটো বনের সমান একটি গাছ! কী রহস্য আছে এই বটগাছে?


প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৯ জুন:  ৩৫০ বছর ধরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রয়েছে এমন একটি বট গাছ, যা ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় পাঁচ একর জায়গায়। এই একটিমাত্র গাছকে দেখতেই ছোটখাটো একটি বনের মত মনে হয়। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে আজব সে গাছের আয়তন। বিস্ময়কর বটগাছটি অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় আশ্চর্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে। ছত্রাক সংক্রমণের কারণে গাছের মূল কাণ্ড কেটে ফেলতে হয়েছে। তবুও এই বটগাছ নিজের বিস্তার কার্যক্রমে বাড়িই যাচ্ছে। 


বিশালাকার গাছটির পরিধি বরাবর নির্মাণ করা হয়েছিল ৩৩০ মিটার দীর্ঘ রাস্তা। কিন্তু সেই রাস্তার বাইরে ছড়িয়ে পড়েছে এই গাছটি। এ কারণে বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এর উপাধি দিয়েছে চলন্ত গাছ। বিশাল ছাউনি গাছটিকে গিনেস রেকর্ডে স্থান করে দিয়েছে, একে বলা হয়‘দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন  ট্রি’।  


প্রচলিত আছে একটি খেজুর গাছের মাথায় এই বট গাছটির বীজ পড়েছিল। এরপর খেজুর গাছে ওপরে জন্ম নেয় এই গাছটি , সেখান থেকে বেড়ে উঠতে উঠতে বিশাল আঁকা ধারণ করে। বট গাছের শাখা প্রশাখা আর জুরির ফাঁসে মারা যায় খেজুর গাছটি। বর্তমানে সেই বটগাছ প্রায় পাঁচ একর জায়গা জুড়ে সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। শত শত ঝুড়ি নিয়ে এখনো সে যথেষ্ট প্রাণবন্ত। ভারতে বটগাছের একটি আধ্যাত্মিক পৌরাণিক এবং ধর্মীয় তাৎপর্য রয়েছে। এই গাছ ভারতীয়দের কাছে অনন্ত জীবন অথবা উর্বরতার প্রতীক। তাই বাড়ি এবং মন্দিরের চারপাশে রোপন করা হয়।  কল্পবৃক্ষ নামেও পরিচিতি বট গাছ। যার অর্থ ইচ্ছা পূরণকারী গাছ। আজব এই বট গাছে উচ্চতা ২৫ থেকে ২৬ মিটার বা ৭৫ থেকে ৮০ ফুটের কাছাকাছি। মুম্বাই গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়ার মতো লম্বা, গাছটির শ্বাসমূলের সংখ্যা প্রায় ৪২০০ টি। নতুন নতুন শ্বাসমূল গজাচ্ছে নিত্যদিন কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে হয়তো তা ছড়িয়ে যাবে পাঁচ হাজার। উদ্যানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সীমানা প্রাচীর পুরোনো এলাকা,সেজন্য সেদিকে গাছ সেভাবে বাড়ে না। এর উল্টোদিকে ফাঁকা আলো বাতাসের প্রবাহ ফলে সে দিকে গাছ বেড়ে উঠছে বিশাল আকারে। সময় পরিক্রমার নানা সময় গাছকে ক্ষতিও হয়েছে। 


১৮৬৪ এবং ১৮৬৭ সালের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ভেঙে যায় এর কতগুলি প্রধান শাখা আক্রান্ত হয় ছত্রাকে। উদ্ভিদরা কাণ্ডটিকে বাঁচাতে লড়াই করেছেন ৫৮ বছর তবে সফল হননি। শেষমেষ ১৯২৫ সালে কেটে ফেলা হয় কান্ডটি কিন্তু মূল কাণ্ডটি না থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে কিছুই হয়নি গাছটির। পরিপূর্ণভাবে সতেজ কেবল নয় গজাচ্ছে নতুন নতুন শ্বাসমূল। ফলে গত ১০০ বছরে আরো বড় হয়েছে সেটি। জমি থেকে ১.৭ মিটার উপরে অবস্থিত আদি কান্ডটির বেড়েছিল ১৫.৭ মিটার বা প্রায় ৫১ ফুট।  কেটে ফেলা সে কাণ্ডের জায়গায় একটি স্মৃতিফলকও তৈরি করা হয়েছে। ১৭৮৭ সালে ক্যালকাটা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই সেখানে এই গাছটি ছিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad