দক্ষিণের দ্বারপ্রান্তে বর্ষা! পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ২০ জুন : তাপমাত্রা কমে গেছে। আবহাওয়া দফতর বলছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গ এবং বাকি দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে।
শহরের তাপমাত্রা কমেছে। বুধবার কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এই দিনে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ।
শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই হালকা মেঘে ঢাকা শহরের আকাশ। এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হলেও অস্থিরতা পুরোপুরি কাটেনি। এদিন কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
এর মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বীরভূম, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বজ্রপাতের সতর্কতা।
এ বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। কিন্তু তারপর থেকে বর্ষা আর এগোয়নি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে।
No comments:
Post a Comment