১৭ বছর আগে শালিকে নিয়ে পালিয়েছিলেন জামাই-বাবু! আজব শাস্তি দিল আদালত
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৪ আগস্ট: অপরাধের জন্য আদালত ১০, ২০ বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে, একথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কিন্তু ভাগলপুর আদালত এক ব্যক্তিকে এমন শাস্তি দিয়েছে, যা জানলে সত্যি অবাক হতে হয়। কী সেই সাজা এবং কেন ওই ব্যক্তিকে সাজা দেওয়া হল, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনার সূত্রপাত ১৭ বছর আগে। রাজকুমার মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁর শ্যালিকা/শালির সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে, যার মামলা চলছিল। ১৭ বছর পর, এডিজে ১৬-র আদালত অভিযুক্ত রাজকুমার মণ্ডলকে শাস্তি হিসাবে ২৫টি চারাগাছ রোপণ করতে এবং থানা থেকে শংসাপত্র নিয়ে হাজির হতে বলেছে। আর একথা শুনে সবাই হতভম্ব।
জানা যায়, ১৭ বছর আগে, এক জামাই-বাবু তার শ্যালিকার প্রতি এতটাই মোহগ্রস্ত হয়েছিল যে, তিনি তাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিতে শুরু করেছিল। তিনি তার শ্বশুরকে ফোন করে হুমকি দেন যে, এখন তার বড় মেয়ে তার স্ত্রী গুহো দেবীকে তখনই সঙ্গে রাখবেন, যখন তার ছোট মেয়ে বুলো কুমারীর সঙ্গে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একথা শুনে শ্বশুর নারায়ণ মণ্ডল তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন এবং ২০০৭ সালেই বিয়ে দিয়ে দেন। জামাই রাজকুমার মণ্ডল বিষয়টি জানতে পারলে তিনি তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন। তিনি ৩০ জুন, ২০০৭ তার সদ্য বিবাহিত শালির সাথে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় সনোখার থানা এলাকার বাসিন্দা শ্বশুর নারায়ণ মণ্ডল বাদী হয়ে জামাই রাজকুমার মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। থানা পুলিশ মামলা নিতে রাজি না হলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত মামলা দায়ের করতে থানায় নির্দেশ দেন। এরপর জামাইয়ের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা করেন শ্বশুর। থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে। এ মামলায় শাস্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আগে বিচারক এমন আদেশ জারি করেন, যা শুনে সবাই অবাক হন।
এই পুরো কেলেঙ্কারির শুনানি শেষ হওয়ার পরে, এডিজে ১৬-এর আদালত অভিযুক্ত রাজকুমার মণ্ডলকে ২৫টি চারা রোপণের নির্দেশ দিয়েছে। শুধু তাই নয়, এর সার্টিফিকেটও স্থানীয় থানা থেকে সংগ্রহ করে আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ২৮শে আগস্ট। তবে যারাই এই খবর পাচ্ছেন তারাই আদালতের প্রশংসা করছেন বলে মনে হচ্ছে। তাঁদের মতে, বর্তমান যুগে পরিবেশ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বিচারক এই নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তের এমন শাস্তি হলে পরিবেশও রক্ষা হবে।
No comments:
Post a Comment