পরকীয়ায় আসক্ত! কনস্টেবল স্ত্রী সহ ৪ জনকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৩ আগস্ট: কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার মহিলা কনস্টেবল সহ ৫ জনের মরদেহ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি বিহারের ভাগলপুরের। ভাগলপুর পুলিশ লাইনের এক কোয়ার্টারে বসবাসকারী কনস্টেবল নীতু কুমারী সহ ৫ জনের মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে, নীতু কুমারীর দুই সন্তান ও তাঁর শাশুড়িকে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। নীতু কুমারীকে ইটের আঘাতে পিষ্ট করা হয় এবং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর স্বামী পঙ্কজের মৃতদেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বিবেকানন্দ, সিনিয়র পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার এবং বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিষয়টি তদন্ত শুরু করে। তদন্তের জন্য এফএসএল (FSL) টিমকেও ডাকা হয়েছে। পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক সংবাদমাধ্যমে বলেন, সকালে দুধওয়ালা দুধ দিতে এলে দরজা খোলেনি, পরে লোকজন দরজা ভেঙে দেখতে পায় সেখানে পাঁচজনের মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। চারজনকেই খুন করার পর স্বামী পঙ্কজ আত্মহত্যা করেছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বলেন, ঘটনায় প্রেমের সম্পর্কও প্রকাশ্যে আসছে, যার কারণে নীতু এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো এবং অনেক সময় এই ঝগড়া-মারামারি রাস্তাতেও দেখা গেছে। গোটা বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বলা হচ্ছে, মহিলা কনস্টেবল বক্সারের বাসিন্দা। মাত্র তিন বছর আগে ভাগলপুরে বদলি হয়েছিলেন। অপরদিকে পঙ্কজ আরাহর বাসিন্দা ছিলেন। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টি তদন্তে ব্যস্ত। জানা গিয়েছে মহিলা কনস্টেবল নীতু এসএসপি অফিসে মোতায়েন ছিলেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে যাতে ওই মহিলা কনস্টেবলের স্বামী চারজনকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। বলা হচ্ছে, অভিযুক্ত তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করেছিল। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। যদিও এটি তদন্তের বিষয় তবে সুইসাইড নোটে এটিও উল্লেখ রয়েছে।
ডিআইজি বিবেকানন্দ জানান, তিনি বক্সারের বাসিন্দা। পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রেমের বিয়ে হয়েছিল। নীতু কুমারী ২০১৫ ব্যাচের ছিলেন। বিগত বে্ কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া চলছিল। এ নিয়ে সড়কেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায়ও ঝগড়া হয়েছে। মহিলা কনস্টেবল এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি। যা ছিল সেটা শুধু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ছিল। প্রায়ই ঝগড়া হতো।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার কারণ কী? এ বিষয়ে ডিআইজি বিবেকানন্দ বলেন, এটা তদন্তের বিষয়, তবে সুইসাইড নোটে স্বামী অভিযোগ করেছেন যে, স্ত্রীর কারও সঙ্গে পরকীয়া ছিল। আমরা সব পয়েন্ট তদন্ত করছি। মহিলা কনস্টেবল নীতু ও পঙ্কজের দুই ছেলে ছিল।একজনের বয়স পাঁচ বছর আর অন্যজনের তিন বছর। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
No comments:
Post a Comment