রাতে দেখা যায় লিভার ড্যামেজের ৫ লক্ষণ, সময় থাকতে সতর্ক হন
প্রেসকার্ড নিউজ লাইফস্টাইল ডেস্ক, ১২ আগস্ট: আজকাল জীবনযাত্রা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে শরীরে। খারাপ খাদ্যাভ্যাস, ঘুম-জেগে ওঠার প্যাটার্ন নষ্ট এবং ধূমপানের মতো অভ্যাস স্বাস্থ্যকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। এগুলোর ফলে লিভারের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। প্রতিদিনই লিভারের ক্ষতির ঘটনা সামনে আসছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, সময়মতো লিভারের লক্ষণ বোঝা গেলে এই বিপজ্জনক রোগ এড়ানো যায় এবং লিভারকে বাঁচানো যায়। লিভার ড্যামেজের কিছু লক্ষণ রাতে দেখা যায়, যেগুলোকে অবহেলা করা উচিৎ নয়।
ফ্যাটি লিভার কত প্রকার?
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা সাধারণত অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া এবং শারীরিক কার্যকলাপ না করার কারণে হয়। ফ্যাটি লিভার রোগ দুই ধরনের হয়। প্রথম- অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD) এবং দ্বিতীয়- নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD)।
১. পেট ব্যাথা
লিভার খারাপ হয়ে গেলে পেটে ব্যথা শুরু হয়। লিভার নষ্ট হয়ে গেলে এর কাজ করার ক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে এর আকারও বাড়তে থাকে। ফলে লিভারের ওপর চাপ বাড়ে এবং ব্যথা তীব্র হয়।
২. ত্বকে চুলকানি
লিভারে কোনও সমস্যা থাকলে ত্বকে চুলকানির সমস্যা হতে পারে। যদি চুলকানি, জ্বালাপোড়া বা ফুসকুড়ির মতো ত্বকের সমস্যা থাকে, বিশেষ করে রাতে, তবে সেগুলিকে অবহেলা করবেন না, অন্যথায় সমস্যাটি গুরুতর হতে পারে।
৩. মাথা ঘোরা, বমি এবং বমি বমি ভাব
বমি বমি ভাব এবং বমির মতো সমস্যাও লিভারের ক্ষতির একটি প্রধান লক্ষণ। রাতে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এতে দেরি করলে বিপজ্জনক হতে পারে। এটি লিভার এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. প্রস্রাবের রং পরিবর্তন
প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন হওয়া লিভারের ক্ষতির লক্ষণ। লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার কারণে প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। যদি এটি ঘটে তবে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিৎ।
৫. ফোলা
রাতে পায়ের নিচের অংশে ফোলাভাব দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। অতিরিক্ত ফোলা এবং ব্যথা লিভার সম্পর্কিত সমস্যার লক্ষণ। এই অবস্থা উপেক্ষা করা উচিৎ নয় এবং অবিলম্বে চেকআপ করানো উচিৎ।
বি.দ্র: খবরে দেওয়া কিছু তথ্য সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে। কোন পরামর্শ বাস্তবায়ন করার আগে, অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করে নিন।
No comments:
Post a Comment