বড় খবর: পুলিশের হাত থেকে পালাতে পুকুরে ঝাঁপ! প্রাণ গেল আসাম-গণধ-র্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তর - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Saturday 24 August 2024

বড় খবর: পুলিশের হাত থেকে পালাতে পুকুরে ঝাঁপ! প্রাণ গেল আসাম-গণধ-র্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তর


বড় খবর: পুলিশের হাত থেকে পালাতে পুকুরে ঝাঁপ! প্রাণ গেল আসাম-গণধ-র্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্তর 




প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ২৪ আগস্ট: আসামের নগাঁও জেলার ধিংয়ে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার প্রধান অভিযুক্ত তফজুল ইসলাম মারা গেছেন। আজ‌ শনিবার ভোর ৪টার দিকে অপরাধের দৃশ্যটি পুনঃনির্মাণ করতে পুলিশ অভিযুক্ত তফজুল ইসলামকে অপরাধ স্থলে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় সে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত। এ সময় অভিযুক্ত নিজেই পুকুরে ডুবে যায়। ২ ঘন্টার নিবিড় উদ্ধার অভিযানের পর অভিযুক্তের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।


পুলিশ জানায়, আজ ভোর ৪টার দিকে তদন্ত চলাকালে পুলিশের হেফাজতে ইসলাম অপরাধ স্থলের পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তার ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। দুই ঘন্টা পর উদ্ধারকারী দল জল থেকে ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে।



সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসপি নগাঁও স্বপ্নীল ডেকা বলেন, 'এই ঘটনায় আগেও তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গভীর রাতে পুলিশের একটি দল তাকে তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে প্রধান অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করে এবং ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত একটি পুকুরে ঝাঁপ দেয়। আমাদের পুলিশ কর্মীরা তল্লাশি অভিযানে নিযুক্ত ছিল এবং এসডিআরএফ দলের সহায়তায় আমরা আজ সকালে পুকুর থেকে তার দেহ উদ্ধার করেছি।"


পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর শুক্রবারই ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে গণধর্ষণের সঙ্গে জড়িত তৃতীয় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও দুই অপরাধীর খোঁজে তল্লাশি চলছে।


একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন যে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাবালিকা টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় ধিং এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় পথে তিনজন তাকে গণধর্ষণ করে। রাস্তার ধারে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায় নাবালিকাকে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। নির্যাতিতাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


এদিকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে শুক্রবার সকালে রাস্তায় নেমে আসেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। ছাত্র ইউনিয়ন বনধের ডাক দেয়। এরপর দোকানিরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটার নামিয়ে দেয় এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং নারী ও মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবী জানায়।


মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, 'ঢিংয়ে নাবালিকার সঙ্গে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং এটা আমাদের সকলের আত্মাকে ঝাঝড়া করে দিয়েছে।' সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, "যেই অপরাধীরা ধিংয়ের নাবালিকার সাথে জঘন্য অপরাধ করার সাহস করেছে, আইন তাদের ছাড়বে না‌। লোকসভা নির্বাচনের পর একটি বিশেষ সম্প্রদায় অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠছে। ভাষার ভিত্তিতে হিন্দুদের বিভক্ত করার চেষ্টা থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।" তিনি এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad