'বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ বরদাস্ত নয়', নিষেধাজ্ঞা সরতেই ভারতকে পরামর্শ জামায়াতে ইসলামি প্রধানের
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার বুধবার দেশের বৃহত্তম ইসলামী মৌলবাদী দল জামায়াতে ইসলামির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আর এরপরই দলটি এখন তার ভারত-বিরোধী রং দেখাতে শুরু করেছে। এভাবেই প্রতিবেদন করেছে এবিপি লাইভ হিন্দি। দলের প্রধান শফিকুর রহমানকে ভারতবিরোধী ও পাকিস্তানপন্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশ সরকার বলেছে যে, জামায়াতে ইসলামির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, যার কারণে এর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়াদিল্লীকে পরামর্শ দিয়েছেন দলপ্রধান।
জামায়াতে ইসলামির প্রধান শফিকুর রহমান বলেছেন, 'তার দল ভারতের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক চায়, কিন্তু বাংলাদেশের বিষয়ে নয়াদিল্লীর হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না।' শফিকুর রহমান ইন্ডিয়ান মিডিয়া করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএমসিএবি) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, 'ভারত তাদের প্রতিবেশী দেশ। শেখ হাসিনার সরকারের আমলে জামায়াতে ইসলামির ও নয়াদিল্লীর মধ্যে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় কিন্তু ভবিষ্যতে দুজনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশি পত্রিকা ডেইলি মানব জমিনের সাথে কথা বলার সময় শফিকুর বলেন, 'আমরা একে অপরের প্রতিবেশী এবং প্রতিবেশীদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায় না। এটি এমন একটি বিষয় যা অস্বীকারও করা যায় না।' তিনি বলেন, 'জামায়েত ইচ্ছাকৃতভাবে ভারত বা অন্য কোনও দেশের সমালোচনা করে না।' তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামি শান্তি ও গণতন্ত্রের জন্য সমর্পিত, তাঁর দল কখনও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল না। এই দলের কোনও সদস্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তিনি দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত।'
অপর এক বিবৃতিতে ভারতকে পরামর্শ দিতে গিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ নয়। জামাত নয়াদিল্লী ও ঢাকার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সমর্থন করে। তবে আমেরিকা, চীন ও পাকিস্তানের মতো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখা উচিৎ বলেও মনে করে।' পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শফিকুর বলেছেন যে, 'নয়াদিল্লী বিশ্বাস করে যে জামায়েত ভারতবিরোধী, কিন্তু তা নয়। তাঁর দল শুধু বাংলাদেশের স্বার্থের কথা বলে।'
No comments:
Post a Comment