ন্যায়বিচারের দাবীতে বাংলাদেশের রাজপথে হিন্দুরা, নিরাপত্তার দাবী
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১১ আগস্ট: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর হামলার নিন্দা করেছেন এবং সেটা ঘৃণ্য বলে অভিহিত করেছেন। এভাবেই প্রতিবেদন করেছে লাইভ হিন্দুস্তান। উল্লেখিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি প্রশ্ন করেন, 'তারা কি এ দেশের মানুষ নয়? দেশকে বাঁচাতে পারছেন, কিছু পরিবারকে বাঁচাতে পারবেন না? যখন হিন্দু সম্প্রদায় নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের দাবীতে বাংলাদেশের রাজপথে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ করেছে।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনাদের বলা উচিৎ যে, তাদের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। তাঁরা আমার ভাই। আমরা একসঙ্গে লড়াই করেছি এবং একসঙ্গে থাকব।” তিনি সকল হিন্দু, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ পরিবারকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, টাঙ্গাইল এবং কুড়িগ্রামের মতো প্রধান শহরগুলিতে বিক্ষোভ করেন এবং বলেন যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের বসবাসের অধিকার রয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ও মন্দিরে হামলার প্রতিবাদে শনিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকার শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।
টাইমস ইন্ডিয়া তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, এই বিক্ষোভের সময় “আগস্ট ২০২৪: বাংলাদেশী হিন্দুদের বাঁচান। আমাদের ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তা চাই।”, “হিন্দুদের বাঁচাও,” “কেন আমার মন্দির ও বাড়ি লুট করছ? আমাদের উত্তর চাই”, “স্বাধীন বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার চলবে না”, “ধর্ম ব্যক্তির জন্য, রাষ্ট্র সকলের জন্য”, “হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করুন” ইত্যাদি স্লোগান তোলা হয়।
শাহবাগে বিক্ষোভরত সংখ্যালঘুরা তাঁদের বাড়ি, মন্দির ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবী করেছে। বাংলাদেশের দুটি হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের মতে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা ৫২টি জেলায় অন্তত ২০৫টি হামলার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সহিংসতা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার বাংলাদেশি হিন্দু প্রতিবেশী ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
No comments:
Post a Comment