শারীরিক নিগ্রহের শিকার হলেন অভিনেত্রী মিশমি দাস ও তার মা
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২৮ আগস্ট: কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজের নৃশংস ঘটনা কার্যত সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে যেন। বাংলাতে মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আবারও। কিন্তু এত বড় ঘটনার পরেও মেয়েরা সুরক্ষিত কি? সাম্প্রতিককালে কলকাতাতে একের পর এক যে সব ঘটনা ঘটে চলেছে তাতে প্রশ্ন উঠছে বারবার। অভিনেত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায়ের পর এবার মা সহ নিগ্রহের শিকার হলেন অভিনেত্রী মিশমি দাস।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতায় প্রকাশ্য রাস্তায় এক সেনা অফিসারের হাতে নিগ্রহ শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী পায়েল মুখোপাধ্যায়। সেই ঘটনার পর দুদিন পেরোতে না পেরোতেই মিশমির সঙ্গে ঘটে গেল অনভিপ্রেত এক ঘটনা। নিজের বাড়ির সামনেই এক মহিলার দ্বারা আক্রমণের শিকার হলেন অভিনেত্রী। ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল?
রবিবার রাতে এক মহিলার ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেন মিশমি। তারপর তিনি লেখেন, “মাত্র কয়েক মিনিট আগে, যখন আমি একটি অনুষ্ঠানের জন্য রওনা হচ্ছিলা এবং আমার মা এবং এক আত্মীয় বাড়িতে প্রবেশ করছিলেন, এই মহিলা এবং তার স্বামী গাড়িটি গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে আমাদের বাড়ির ঠিক সামনে পার্ক করেছিলেন। আমার মা তাকে গাড়ি সরাতে বলেছিলেন কারণ আমার নিজের বিল্ডিংয়ের গেটের সামনে আমার গাড়িটি পার্ক করা যাচ্ছিল না।”
এখানেই শেষ নয়, মিশমি লেখেন, “এই মহিলা আমার মাকে গালিগালাজ ও হুমকি দিতে শুরু করে, অবশেষে তারা গাড়িটি সরিয়ে নেয় কিন্তু গালাগালি থামেনি। তাই আমি বাইরে এসে তাদের গাড়ি এবং নম্বর প্লেটের একটি ছবি তুলি। তিনি এতটাই উত্তেজিত হয়েছিলেন যে, শারীরিকভাবে আমাকে আমার গাড়িতে প্রবেশ করতে বাধা দেন এবং আমার তোলা ছবিটি মুছতে বলেন। আমি প্রত্যাখ্যান করে গাড়ির ভেতরে ঢুকলে সে আমার গাড়ির ভেতরে তার হাত ঢুকিয়ে আমার একটি ছবি তোলে এবং হুমকি দেয় ‘ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নাম খারাপ কী করে করি, দেখুন এবার।”
এরপর শহরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রী। মিশমি লিখেছেন, “আমার শহরের নিরাপত্তা কি এই রকম? ইভেন্টের জন্য দেরি হচ্ছিল বলে আমাকে চলে যেতে হয়, কিন্তু তারা সেখানে দাঁড়িয়ে আমার মা এবং অন্যান্য লোকদের আরও ২০ মিনিট গালাগালি করে। তারপর পুলিশ আসে এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসারের সামনেও আমার মাকে আমার কেরিয়ার নষ্ট করার হুমকি দেওয়া হয়। আমার বাড়ির নীচেই যদি আমার সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটে, তবে আমি কীভাবে নিরাপদ বোধ করব? ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমার মা উপস্থিত ছিলেন, নইলে কী হত কে জানে!”
No comments:
Post a Comment