ধ-র্ষণের চরম শাস্তি দেখানো হয়েছে এই ৪ সিনেমাতে! যা বদলে দিতে পারে আজকের সমাজ
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৪ আগষ্ট: একবিংশ শতাব্দীতেও ধ-র্ষণের নামে সমাজের অন্যতম বড় জঘন্য অপরাধ ঘটে চলেছে আকছার। সাধারণ অশিক্ষিতা নারী থেকে উচ্চ শিক্ষিতা ডাক্তার পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছেন না। শিশু থেকে বৃদ্ধা, কেউই এই জঘন্য অপরাধের থেকে ছাড় পাচ্ছেন না। একমাত্র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই ধ-র্ষণ ঠেকাতে পারে সমাজে। আর এরকম কিছু দৃষ্টান্তের উল্লেখ রয়েছে কিছু ভারতীয় সিনেমাতে। যা অনেকাংশে বদলে দিয়েছে সমাজের ধ্যান-ধারণা। দেখুন সেই তালিকা।
দামিনী : ৮০ এর দশকের বলিউডে মুক্তি পেয়েছিল দামিনী। মীনাক্ষী শেষাদ্রি, ঋষি কাপুর ও সানি দেওল অভিনীত এই সিনেমা ভারতের অন্যতম সেরা নারী কেন্দ্রিক ছবি বলে গণ্য হয়। সিনেমাতে দেখানো হয়েছিল দামিনীর দেওর এবং বন্ধুদের কাছে গণধর্ষিতা হয় তাদের বাড়ির পরিচারিকা। গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে দামিনী মেয়েটির ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করেছিল। পাশে পেয়েছিল তার স্বামী ও উকিলকে।
পিঙ্ক : তাপসী পান্নু, কৃতী কুলহারি, অ্যান্ড্রিয়া তারিয়াং ও অমিতাভ বচ্চন অভিনীত এই সিনেমাটি সমাজের পিতৃতন্ত্রের মুখোশ খুলে দেয়। এই সিনেমাটি দেখানো হয় তিন বান্ধবী একটি বারে যায় পার্টি করতে। সেখানে একদল ছেলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। ছেলেগুলো তাদের সঙ্গে অসভ্য আচরণ করতে শুরু করলে একদিনের মাথায় কাচের বোতল ভেঙে তারা পালিয়ে আসে। এই ঘটনা আদালতে যায়। অমিতাভ বচ্চন একজন পোড় খাওয়া উকিলের ভূমিকাতে পাশে দাঁড়ান ওই তিন মেয়ের। এই সিনেমা সমাজে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়। যেমন বাড়ির বউ হন কিংবা কোনও বারবণিতা, যদি কোনও মহিলা কোনও পুরুষকে ‘না’ বলেন, তাহলে তার অর্থ ‘না’ই হবে। নারীকে কোনও অবস্থাতেই জোর জবরদস্তি করা যায় না।
মর্দানি ২ : রানী মুখার্জীর মর্দানি ২ এক ভয়ংকর সিরিয়াল কিলারের গল্প বলে। যে মহিলাদের অপহরণ করে ড্রাগ দিয়ে ধ-র্ষণ করত। তারপর নৃশংসভাবে খুন করতো। কাঁটাওয়ালা বেল্ট দিয়ে ছিঁড়ে ফালা ফালা করে দিত শিকারের শরীর। রানী মুখার্জী ইন্সপেক্টরের ভূমিকাতে সেই ধর্ষককে খুঁজে তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন।
সির্ফ এক বান্দা কাফি হে : মনোজ বাজপেয়ী অভিনীত এই সিনেমাটি আদতে রাজস্থানের যোধপুরের একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানানো। যেখানে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা ধ-র্ষিতা হয় এক নাবালিকা। সেই প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে আদালতে রুখে দাঁড়ান শুধু একজন উকিল। বিনা পয়সায় সেই দরিদ্র নাবালিকার পরিবারের সাহায্য করেছিলেন তিনি। নাড়িয়ে দিয়েছিলেন সিস্টেমকে।
No comments:
Post a Comment