ব্যায়াম কী ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে?
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,১৩ আগস্ট: ক্যান্সার রোগীরা জিমে যেতে পারেন বা ব্যায়াম করতে পারেন।তবে এটি ক্যান্সারের ধরন,চিকিৎসার অবস্থা,রোগীর শারীরিক সক্ষমতা এবং ডাক্তারের পরামর্শের মতো অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে।ব্যায়াম ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় এবং পরে রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।কারণ এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।তবে এটি করার সময় কিছু বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।
জিম এবং ব্যায়ামের সুবিধা -
নিয়মিত ব্যায়াম পেশী শক্তি এবং সহনশীলতা বাড়ায়।যার ফলে ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় দুর্বলতা এবং ক্লান্তি হ্রাস পায়।এর পাশাপাশি ব্যায়াম মানসিক চাপ,উদ্বেগ এবং বিষণ্নতা কমাতে পারে।এটি আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সাহায্য করে।
রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে -
ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে,পুষ্টি এবং অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন অংশে ভালোভাবে পৌঁছাতে দেয়।ব্যায়াম ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে,যা ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় অতিরিক্ত ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি এড়াতে পারে।
সতর্কতা -
একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন:
কোনও ব্যায়াম প্রোগ্রাম শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।আপনার শারীরিক অবস্থা এবং শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী ডাক্তার আপনাকে উপযুক্ত পরামর্শ দেবেন।
হালকা ব্যায়াম দিয়ে শুরু করুন:
আপনি যদি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন,তাহলে হালকা,কম প্রভাবের ব্যায়াম,যেমন- হাঁটা,স্ট্রেচিং, যোগব্যায়াম বা সাঁতার দিয়ে শুরু করুন।ধীরে ধীরে আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যায়ামের তীব্রতা বাড়ান।
ক্লান্তি সম্পর্কে সচেতন থাকুন:
ক্যান্সারের চিকিৎসার সময় ক্লান্তি একটি সাধারণ সমস্যা। অতএব,আপনি খুব ক্লান্ত বোধ করলে ব্যায়াম থেকে বিরতি নিন।আপনার শরীরের কথা শুনুন এবং এর সীমাকে সম্মান করুন।
হাইড্রেটেড থাকুন:
ব্যায়ামের সময় প্রচুর জল পান করা গুরুত্বপূর্ণ।বিশেষ করে যদি আপনি কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপির মধ্যে থাকেন।শরীর হাইড্রেটেড রাখা প্রয়োজন।
সংক্রমণ প্রতিরোধ:
আপনার যদি দুর্বল ইমিউন সিস্টেম থাকে,তাহলে জনাকীর্ণ জিম বা স্থানগুলি এড়িয়ে চলুন যেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকতে পারে।পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন।
নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা:
নির্দিষ্ট জিমের সরঞ্জাম ব্যবহার করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।বিশেষত যদি আপনার দুর্বল হাড় থাকে বা হাড়ের মেটাস্টেসের ঝুঁকি থাকে।অতিরিক্ত ওজন উত্তোলন ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন।প্রতিটি ব্যায়াম সেশনের আগে এবং পরে যথাযথ ওয়ার্ম-আপ এবং কুল-ডাউন ব্যায়াম করতে ভুলবেন না।এটি পেশী স্ট্রেন এবং আঘাত প্রতিরোধ করতে পারে। ব্যায়ামের সময় আপনার শরীরের সংকেতের দিকে মনোযোগ দিন।আপনি যদি মাথা ঘোরা,বুকে ব্যথা বা শ্বাস নিতে অসুবিধার মতো অস্বাভাবিক লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে অবিলম্বে ব্যায়াম বন্ধ করুন এবং একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment