"আমি খুন ও ধ-র্ষণ বলব, যারা ডিউটিতে ছিল তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা উচিত", দাবী ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১১ আগস্ট, কলকাতা : খুনের পর ধর্ষণ? আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ রিপোর্টের সূত্রে উঠেছে তোলপাড় করা প্রশ্ন। দেহে প্রাণ না থাকার পরও ধর্ষণ? আরজি কর কাণ্ডে ছাত্রী চিকিৎসকের গোপনাঙ্গে পাওয়া ক্ষতকে ডাক্তারি ভাষায় 'পেরিমর্টেম' বলা হয়। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যে কারণে ঘটনার বীভৎসতা দেখে হতবাক অনেকেই। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ শোভন দাস স্পষ্ট বলছেন, "আমি ধর্ষণ ও খুন বলব না। আমি খুন ও ধর্ষণ বলব।" কেন তিনি একথা বলছেন?
তাঁর যুক্তি, "মেয়েটি একজন ডাক্তার। শক্ত-সমর্থ মানুষ। হামলার সময় তিনি প্রতিরোধ করেন। এরপর তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়। তারপর তার গলা টিপে ধরা হয়। তখন তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তারপরই ধর্ষণ হয়েছে। সে যখন অজ্ঞান হয়নি তখন ধর্ষণ হয়নি। কারণ তখন ও লড়াই করছিল। আর যে ব্যক্তি এটা করেছে সে অনেক ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। হতে বাধ্য।"
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য 'রেইকি' করেই পুরো ঘটনাটি ঘটেছে। "যে এটা করেছে সে জায়গাটা ভালো করেই জানে," তিনি বলেন। তিনি বলেন, "যাওয়া আসার রাস্তাটাও জানে। সবচেয়ে বড় কথা হল নির্যাতিতার পুরো গতিবিধির উপর তার আগে থেকেই নজর ছিল। পুরোটাই ভিতরের ব্যাপার।” শোভনবাবু বারবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে ঘটনার পিছনে একাধিক ব্যক্তি থাকতে পারে। তিনি বলেন, "মেয়েটি অনেক লড়াই করেছে। ধর্ষকও আক্রান্ত। অতএব, তার কাছাকাছি যারা ছিল তাদের পরীক্ষা করা দরকার। যারা সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ওই চত্বরে ডিউটিতে ছিলেন, যারা ডিউটিতে ছিলেন না কিন্তু সেখানে গিয়ে থাকতে পারেন, বা সেখানে দেখা গেছে, তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করে দেখা দরকার।" তিনি জানান, অপরাধীর কাছে পৌঁছাতে হলে এই রাস্তায় হাঁটা ছাড়া আর কোনও পথই খোলা নেই।
No comments:
Post a Comment