'সব হাসপাতাল সেফ জোন হোক', জেপি নাড্ডাকে চিঠি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তির দ্রুত শাস্তির দাবীতে সোমবারও দেশব্যাপী বিক্ষোভ চলে। এই আবহেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে চিঠি দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। চিঠিতে একগুচ্ছ দাবী জানানো হয়েছে। সকল হাসপাতালকে সেফ জোন হিসেবে ঘোষণা করা, সকল বড় হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প তৈরিসহ একাধিক কথা চিঠিতে বলা হয়েছে।
আইএমএ চিঠিতে বলেছে যে দেশের চিকিৎসা পেশার পক্ষ থেকে আমরা ব্যক্তিগতভাবে আপনার (কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী) সাথে দেখা করার জন্য সময় চাই। গত কয়েক দশক ধরে এদেশের চিকিৎসকরা তাদের ওপর সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এতে চিকিৎসা জগতে ভীতি ও নিপীড়নের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে প্রধান দাবী
সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে সেফ জোন ঘোষণা করতে হবে।
সব বড় সরকারি হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্প ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
বড় বেসরকারি হাসপাতালেও একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা উচিৎ।
স্পর্শকাতর স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
২৫টি রাজ্যে ডাক্তার এবং হাসপাতালে আক্রমণ করার আইন রয়েছে। তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকার্যকর এবং প্রতিরোধের উদ্দেশ্য পূরণ করে না।
এছাড়াও রাজ্য সরকারের কাছে আইএমএর দাবী-
মামলার নিরপেক্ষ ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দিতে হবে।
অপরাধকে সক্ষম করে এমন অবস্থার বিস্তারিত তদন্ত।
কর্মক্ষেত্রে চিকিৎসকদের, বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তার উন্নতির জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ।
আইএমএ ১২ আগস্ট তাদের চিঠিতে লিখেছে যে, তারা এই দাবীগুলি নিয়ে সরকারকে দু'দিনের আলটিমেটাম দিয়েছে। আইএমএ সদর দফতর এই বিষয়ে আরও পদক্ষেপের জন্য রাজ্য শাখাগুলির সাথে পরামর্শ করছে৷ আইএমএ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে লূখা চিঠিতে বলেছে যে, 'আমরা আপনার কাছে নিরাপদ অঞ্চল, সংজ্ঞায়িত সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে সহিংসতার ওপর কেন্দ্রীয় আইনের দাবী পেশ করছি। আমরা আশা করি, অবনতিশীল স্থল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আপনারা আমাদের দাবীগুলো অনুকূলভাবে বিবেচনা করবেন।'
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্মঘট এবং মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের দাবীতে জনগণের ক্ষোভের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, রবিবারের মধ্যে যদি পুলিশ মামলাটি সমাধান করতে ব্যর্থ হয় তবে তা সিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে। প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসক, শিক্ষানবিশ ও স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবী নিয়ে টানা চতুর্থ দিনের মতো ধর্মঘট চলায় হাসপাতালগুলোতে সেবা ব্যাহত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment