মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বার্তা এস জয়শঙ্করের
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১০ আগস্ট: গত কয়েক বছর ধরে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কের তিক্ততা এখন কিছুটা দূর হতে শুরু করেছে। মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এস. জয়শঙ্কর শুক্রবার (১০ আগস্ট, ২০২৪) বলেন যে, মালদ্বীপের সাথে ভারতের অংশীদারিত্ব একে অপরের কল্যাণ এবং স্বার্থের জন্য একসাথে কাজ করার গভীর ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে।
তিনি জোর দেন যে, মালদ্বীপের সাথে সম্পর্ক ভারতের 'প্রতিবেশী প্রথম' নীতির অন্যতম ভিত্তি। জয়শঙ্কর মালদ্বীপের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনঃনির্ধারিত করার জন্য তিন দিনের সরকারি সফরে শুক্রবার সন্ধ্যায় মালে পৌঁছেছেন। দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে গত বছর চীন সমর্থক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের পক্ষ থেকে এটি প্রথম উচ্চ-পর্যায়ের সফর।
এস. জয়শঙ্করের এই মালদ্বীপ সফর এই বছরের জুনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর ভারত সফরের কয়েক সপ্তাহ পরে। মালদ্বীপে তাঁর সমকক্ষ মুসা জমিরের সাথে বার্তালাপের পর জয়শঙ্কর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "মালদ্বীপের সাথে ভারতের অংশীদারিত্ব একে অপরের কল্যাণ এবং স্বার্থের জন্য একসাথে কাজ করার আমাদের গভীর ইচ্ছার ওপর ভিত্তি করে। এটি এমন একটি অংশীদারিত্ব, যা আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর সাথে সবসময় দ্রুত এবং কার্যকরভাবে সাড়া দিতে সক্ষম করেছে, যেমনটি অতীতেও দেখা গেছে।"
তিনি বলেন, “মালদ্বীপ হল আমাদের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির অন্যতম ভিত্তি, এটি আমাদের ‘ভিশন সাগর’-এর পাশাপাশি ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় সংক্ষেপে বলতে গেলে- ভারতের জন্য প্রতিবেশী একটি অগ্রাধিকার এবং প্রতিবেশী মালদ্বীপ একটি অগ্রাধিকার। আমরা ইতিহাস এবং আত্মীয়তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধনও ভাগ করি।”
চীন সমর্থক বলে বিবেচিত মুইজ্জু ২০২৩ সালের নভেম্বরে শীর্ষ কার্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল। জয়শঙ্কর বলেন যে, এই সফরটি উভয় দেশের অর্জনগুলি একসাথে পর্যালোচনা করার এবং আগামী বছরগুলির জন্য একটি উচ্চাকাঙ্খী ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করার একটি সুযোগ।
No comments:
Post a Comment