তারা দেব-জিতকে সেলিব্রিটি মনে করে না! টলিউডের নোংরা রাজনীতি ফাঁস করলেন কৌশিক-লাবণী
প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ২২ আগস্ট: কৌশিক ব্যানার্জী এবং লাবণী সরকার, টলিউডের এই পাওয়ার কাপলের ব্যাপারে আমাদের সকলের জানা আছে। ইন্ডাস্ট্রির ভার্সেটাইল অভিনেতা এবং অভিনেত্রী তারা। তবুও কোথাও গিয়ে যেন কোণঠাসা হয়ে রইলেন এত প্রতিভাবান এই তারকারাও। কেন এমনটা হল? কেন আরো ভালো সুযোগ পেলেন না? সম্প্রতি সিটি সিনেমা নামের এক ইউটিউব চ্যানেলের কাছে ইন্ডাস্ট্রির নোংরা রাজনীতি ফাঁস করলেন কৌশিক ও লাবণী। ঠিক কী কী বললেন তারা?
কৌশিক এবং লাবণীর কথায় টলিউডে যেদিন থেকে রাজনীতি ঢুকেছে, সেদিন থেকেই চূড়ান্ত সর্বনাশের শুরু। এছাড়া টলিউডের নিয়ম অনুসারে তারা টাইপ কাস্ট হয়েছেন। শুধু তারাই যে টাইপ কাস্ট হয়েছেন তা নয়। ইন্ডাস্ট্রির বহু প্রতিভাবান অভিনেতা এবং অভিনেত্রীর সঙ্গেই এমনটা ঘটেছে। আসলে কেউ যখন কোনও চরিত্র ভালো করেন, তখন নির্মাতারাও তাকে আর সেরকম চরিত্র ছাড়া অন্য চরিত্রে ভাবতে পারেন না।
টলিউডের তথাকথিত ‘সেলিব্রিটি’দের সম্পর্কেও মুখ খুলেছেন অভিনেতা। তার কথায় সেলিব্রিটি সবাই হন না। সেলিব্রিটি কথার অর্থ যারা সেল হন বা বিক্রি হন। তারাই সেলিব্রিটি, যারা একা একটি ছবিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তদের নাম নিয়েছেন অভিনেতা। কিন্তু দেব বা জিতের মত অভিনেতাদের সেলিব্রিটি বলতে নারাজ কৌশিক।
এছাড়া ইন্ডাস্ট্রির আরও বেশ কিছু দিকের কথা তুলে ধরেছেন এই তারকা দম্পতি। যেমন সাকসেস পার্টি, ছবির বাজেট ইত্যাদি। লাবণীর কথায়, আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে ৫০-৫২ দিনের শুটিং হত প্রত্যেকটা ছবির। কিন্তু এখন তা ১০ দিনে নেমে এসেছে। ছবির বাজেট অনেক কমেছে। এত কম বাজেটে কীভাবে ভাল ছবি হবে? আর দর্শকদের চাহিদাও বদলেছে। দর্শকরা এখন মুঠোফোনেই সব পেয়ে যাচ্ছেন। যার ফলে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার আগ্রহও কমছে।
অন্যদিকে তথাকথিত সেলিব্রিটিরা তাদের রোজনামচা তুলে ধরেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাই তাদের দেখার জন্য হলে যাওয়ার আগ্রহও কমছে। এদিকে সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই চলছে সাকসেস পার্টি। ভিড় করে কেক কেটে উদযাপন হচ্ছে। অথচ টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১০-১২টা। কৌশিকের বিচারে ব্যাপার গুলো খুবই অদ্ভুত। ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ তারকাকেই গ্রামের দর্শকরা চেনেন না। আর গ্রামের দর্শক যদি মুখ ফিরিয়ে নেন, তাহলে ইন্ডাস্ট্রির হাল এরকমই হয়।
No comments:
Post a Comment