সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলতে হবে নির্যাতিতার ছবি, আরজি কর কাণ্ডে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বড় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিকালে আদালত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার সমস্ত ছবি মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। আবেদনকারী বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ধর্ষণের শিকার ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। তা সত্ত্বেও নির্যাতিতার ছবি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। এর পরেই তা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন সিজেআই।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে, চিকিৎসকের ছবি ও তার পরিবারের পরিচয় প্রকাশের ফলে পরিবারের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক মন্ত্রককেও পিটিশনে পক্ষ করা হয়েছিল। এর আগে, কলকাতা হাইকোর্ট লোকেদের কাছে নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ না করার জন্য আবেদন করেছিল এবং তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করা এড়াতে বলেছিল।
উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অনেক দিক নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আদালত। সুপ্রিম কোর্ট এই ঘটনার তদন্তকারী সিবিআইয়ের কাছে ২২ আগস্টের মধ্যে স্ট্যাটাস রিপোর্ট চেয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মনে হচ্ছে খুব ভোরে অপরাধের কথা ধরা পড়েছে, কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ একে আত্মহত্যা বলার চেষ্টা করেছেন। পাশাপাশি আদালত এও বলে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের আচরণ যখন তদন্তাধীন, তখন কীভাবে তাঁকে দ্রুত অন্য কোনও কলেজে নিয়োগ দেওয়া হল?
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেছে যে, এই ঘটনার পরে দেশব্যাপী বিক্ষোভ চিকিত্সকদের প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষার অভাবের বিষয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আদালত বলেছে, মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনগুলি ক্রমাগত এই বিষয়টি উত্থাপন করেছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় যে, তাঁদের দায়িত্ব পালনে, চিকিত্সা পেশাদাররা দুর্ভাগ্যজনক সহিংসতার নিশানায় পরিণত হয়।
No comments:
Post a Comment