'৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন দেখিনি', আরজি কর কাণ্ডে তীব্র সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টের
কলকাতা, ২২ আগস্ট: কলকাতার আরজি করের ধর্ষণ-খুন মামলা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট, ২০২৪) শুনানি করে সুপ্রিম কোর্ট। এই সময় পুলিশের শিথিলতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। এ সময় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এই মামলায় পুলিশের কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন যে, '৯ আগস্ট রাত ১১.৩০-এ অস্বাভাবিক মৃত্যুর সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল এবং সন্ধ্যায় ৬.১০ থেকে ৭.১০ টার মধ্যে পোস্টমর্টেম হয়েছিল। এর মানে হল রাত ১১.২০ টায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর এন্ট্রি করা হয় এবং ১১.৪৫ টায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল।' তিনি বলেন, 'এটা আশ্চর্যজনক যে, ময়নাতদন্তের আগেই অপমৃত্যু নথিভুক্ত করা হয়েছে।'
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা যখন প্রশ্ন করছিলেন, তখন সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিব্বল পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, 'পরের বার দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে আসবেন। এনাকে বলুন হুট করে বক্তব্য না দিতে, দায়িত্বশীলতা দেখাতে বলুন।'
বিচারপতি পারদিওয়ালা আরও বলেছেন, "রাজ্য সরকার যেভাবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি করেছে, আমি আমার ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে এমন অবহেলা দেখিনি। প্রথমত, এটা কী সত্য যে, ১০.৩০- এ অস্বাভাবিক মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছিল? দ্বিতীয়ত, এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিনটেনডেন্ট নন-মেডিক্যাল কে, তার আচরণও খুবই সন্দেহজনক, কেন তিনি এমন করলেন?"
প্রথম থেকেই এফআইআর এবং পুরো প্রক্রিয়ার টাইমলাইন নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবারের পর আজও, শুনানির সময়, আদালত বারবার অস্বাভাবিক মৃত্যুর রেজিস্ট্রেশন, ময়নাতদন্ত এবং এফআইআরের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
কপিল সিব্বল আদালতকে বলেছেন যে, তাঁর কাছে সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে এবং তিনি মিনিটে মিনিটে সবকিছু বলবেন। সিজেআই চন্দ্রচূড় তাঁকে বলেন যে, 'একটি জিনিস খুব বিরক্ত করছে। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সাধারণ ডায়েরিতে মৃত্যুর ঘটনা লিপিবদ্ধ থাকলে রাত সাড়ে ১১টায় কেন ঘটনাস্থল সুরক্ষিত করে উদ্ধার করা হয়। এত ঘন্টা সবাই কি করছিল?'
No comments:
Post a Comment