মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিকে উৎখাতের চেষ্টা? মুইজ্জুর বিস্ফোরক দাবী ঘিরে শোরগোল
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৮ আগস্ট: বাংলাদেশের মত ভারতের আরেক প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপেও অভ্যুত্থান ঘটতে চলেছিল। কিন্তু সরকার কোনও ভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং এখন তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে 'চীন-চীন' বলে চিৎকার করা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর খারাপ নীতির কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এতটাই কমে গেছে যে, সরকারি ব্যাংককে বৈদেশিক লেনদেন বন্ধ করতে হয়েছে। ব্যাংক অফ মালদ্বীপ ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের জন্য বিদেশী লেনদেন স্থগিত করেছে। সরকার বিষয়টি জানতে পেরে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয়। এখন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু এটাকে আর্থিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হিসেবে অভিহিত করছেন। এর জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, যারা সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। অধাধুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাতে পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের বৈঠকে মুইজ্জু বলেছিলেন যে, ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত তাঁর পরামর্শের বিরুদ্ধে। তিনি বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কের সিদ্ধান্তের জন্য অভ্যুত্থানের চেষ্টার অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'বিরোধীরা অবৈধভাবে সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা করছে।'
প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর নির্দেশে পুলিশও ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তিনি বলেন, তদন্তে সরকারের কোনও প্রভাব থাকবে না। তদন্ত সাপেক্ষে রায় দেওয়া হবে। সরকার নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল এমন প্রশ্নে মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, 'বিএমএলের পরিচালনা পর্ষদে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এখন মাত্র ৪ জন সরকারি পরিচালক, বাকি ৫ জন পরিচালক সরকারের সঙ্গে যুক্ত নন, তাই আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।'
দ্য সান নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনার পর প্রধান বিরোধী মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকেও বিবৃতি এসেছে। দলের সভাপতি ফাইয়াজ ইসমাইল বলেন, 'যা ঘটেছে তাতে সরকারের অভ্যন্তরে অভ্যুত্থানের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ফাইয়াজ, মুইজ্জুর দাবীকে হাস্যকর বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, 'আমরা প্রশাসনের মধ্যেই ত্রুটি দেখছি। এ থেকে অনুমান করা যায় যে, আমরা আগামী দিনে অভ্যুত্থান দেখতে যাচ্ছি।'
No comments:
Post a Comment