সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেওয়া জমি সব নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 9 August 2024

সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেওয়া জমি সব নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট



সৌরভ গাঙ্গুলীকে দেওয়া জমি সব নিয়ম মেনে হয়েছে কিনা, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট



নিজস্ব প্রতিবেদন, ০৯ আগস্ট, কলকাতা : ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীকে এক টাকার বিনিময়ে ৭৫০ একর জমি দেওয়ার ইস্যুতে মমতা সরকার ধাক্কা খেয়েছে।  হাইকোর্ট মমতা সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে।  শুক্রবার, এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয় এবং ডিভিশন বেঞ্চ সমস্ত পক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিল করতে বলেছে।



 মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সৌরভ গাঙ্গুলীকে কারখানা তৈরির জন্য জমি দিয়েছে।  ৭৫০ একর জমি ৯৯৯ বছরের জন্য মাত্র এক টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।



 প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীকে রাজ্য সরকার যে জমি দিয়েছে তা নিয়ম মানা আছে কি না, তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।  আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চাইলেন ওই জমির বাজারমূল্য কত?  সৌরভকে টেন্ডার দেওয়ার সময় কি নিয়ম মানা হয়েছিল?  জমি হস্তান্তরের সময় সরকার দরপত্র জমা দিয়েছিল কি না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।


 

 গত বছর পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোড সংলগ্ন একটি বিশাল জমি সৌরভকে শিল্প উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার দিয়েছিল।  জানা গেছে, রাজ্য সেই জমি সৌরভকে ১ টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছে।  এই দাবী নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়।


 শুক্রবার একই জমির মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অনন্যা বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।  তিনি জমি হস্তান্তরের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান এবং জমি ব্যবহার নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেন।


আবেদনকারী আদালতে বলেছেন যে 'প্রয়াগ' গ্রুপ প্রথমে চন্দ্রকোনা রোডে ফিল্ম সিটি তৈরির জন্য রাজ্য থেকে জমি কিনেছিল।  পরে চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে কোম্পানির নাম জড়িত থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্র তালুকদারের কমিটি তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।  ওই এলাকায় শিল্পের জন্য সৌরভকে ১ টাকায় জমি লিজ দেওয়া হয়েছিল।



 আবেদনকারীর মতে, সৌরভ গাঙ্গুলীকে বরাদ্দ করা জমিতে প্রয়াগ গ্রুপের জমির কিছু অংশও রয়েছে।  রাজ্য তালুকদার কমিটির অনুমতি ছাড়াই সৌরভকে সেই জমি দিয়েছে।  বিনিয়োগকারীদের আইনজীবী অরিন্দম দাসের মতে, “সৌরভকে জমি দেওয়ার আগে রাজ্য কমিটির অনুমতি চেয়েছিল।  কিন্তু পরে কমিটির অনুমতি ছাড়াই জমি হস্তান্তর করা হয়।"


 

 শুক্রবার সেই বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, জমির মালিক কে তা আদালতই ঠিক করবে।  ততক্ষণ পর্যন্ত জমি কোনওভাবেই ব্যবহার করা হবে না।  জমি বিক্রি করা যাবে না।  বিচারপতি বাগচি বলেছেন, “নাগরিকদের আস্থা অর্জনের জন্য চন্দ্রকোনা রোডে জমি হস্তান্তরের বিষয়টি আদালত দেখবে।  আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে কি না।"



দুই বিচারক বলেছেন, "জমি দেওয়ার সময় নিলাম হয়েছিল কি না তা রাজ্যকে জানাতে হবে।"  তা না হলে কেন নয় তা রাজ্যকে ব্যাখ্যা করতে হবে।  উল্লিখিত জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রি বা হস্তান্তর করা হয়েছে কিনা তাও আদালতকে জানাতে হবে।  জমির বাজার মূল্যও তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামায় রাজ্যকে জানাতে হবে।  পাঁচ সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।


No comments:

Post a Comment

Post Top Ad