আদালত ঘেরাও করে বিক্ষোভ, পদত্যাগ করছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১০ আগস্ট: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও বিক্ষোভের আঁচ নেভেনি। বিক্ষোভকারীদের দাবী এবারে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার সুপ্রিম কোর্ট চত্বর ঘেরাও করেন শত শত আন্দোলনকারী। এ সময় আন্দোলনকারীরা প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিদের স্থানীয় সময় দুপুর ১টার মধ্যে পদত্যাগের সময়সীমা বেঁধে দেন। বিক্ষোভকারীদের সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করার পর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, তিনি পদত্যাগ না করলে তারা শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঝড় তুলবে। প্রধান বিচারপতি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের বিচারকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাবেন বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ওবায়দুল হাসানকে নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বিদেশে গেলে তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতার বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নিঃশর্ত পদত্যাগ দাবী করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তেজনার মধ্যে প্রধান বিচারপতি বিচারপতিদের বৈঠক স্থগিত করেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন সরকার গঠনের পর প্রধান বিচারপতির তরফে আলোচনা ছাড়াই ফুল-কোর্ট ডাকা হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বিচারপতিরা নতুন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, ক্ষোভের জন্ম দিয়েছেন এবং জবাবদিহিতার দাবী ওঠে। অস্থিরতার মধ্যে প্রধান বিচারপতি ফুলকোর্টের বৈঠক স্থগিত করেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের ভিড় জমে যায়। এরপরই পদত্যাগের দাবী ওঠে। দুপুর দেড়টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানান এবং আন্দোলনকারীরা দুপুর দু্টো নাগাদ আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যান।
No comments:
Post a Comment