গাজার স্কুলে ইজরায়েলি হামলা, মৃত ১০০
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১০ আগস্ট: গাজার দারাজ জেলার একটি স্কুলে ইজরায়েলি এয়ার হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার সকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধ রয়েছে। বহু মানুষ এই বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন।সরকারি ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা (WAFA)-এর মতে, হামলার সময় স্কুলটি বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছিল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালের নামাজ পড়ার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন জানায়, স্কুলের ওপর একের পর এক ৩টি রকেট আছড়ে পড়ে। হামলার পর স্কুলে আগুন লেগে যায়, তা নেভানোর চেষ্টা চলছে।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবী করেছে যে, আল-তাবিন স্কুলটি হামাসের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। সেখানে অনেক হামাস সন্ত্রাসী উপস্থিত ছিল। সেনাবাহিনী দাবী করেছে, তারা নাগরিকদের ওপর কোনও হামলা করেনি।
হামাসের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, হামলায় প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা স্কুলে বসবাস করছিল। তিনি এই হামলাকে 'ভয়াবহ' বলে বর্ণনা করেছেন। কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ, মৃতদেহ অপসারণ এবং আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজা শহরের স্কুলে ইজরায়েলি হামলার পর গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস একটি বিবৃতি জারি করেছে, বিবৃতিতে একে নরসংহার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ইজরায়েলি দখলদার সেনা গাজা শহরের আল-তাবিন স্কুলের ভিতরে নরসংহার চালিয়েছে, এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন। এটি স্পষ্ট ভাবে আমাদের ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে নরসংহার এবং জাতিগত নির্মূলের অপরাধের পরিধির মধ্যে পড়ে।"
বৃহস্পতিবার গাজার দুটি স্কুলে ইজরায়েলি সেনার হামলার পর এই হামলা হয়, যাতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় ইজরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল যে, তারা হামাসের কমান্ড সেন্টারে হামলা চালিয়েছে।
No comments:
Post a Comment