দেশে ফিরলেই গ্ৰেফতার হাসিনা! দায়ের খুনের মামলা
প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১৩ আগস্ট: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই ঢাকায় পুলিশের গুলিতে আবু সাইদ নিহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনা ছাড়াও আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এভাবেই প্রতিবেদন করেছে এবিপি লাইভ হিন্দি। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে মুদি দোকানের মালিক আবু সাইদ নিহত হন।
উল্লেখিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পুলিশের প্রাক্তন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, প্রাক্তন ডিবি প্রধান হারুন, প্রাক্তন ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার ও প্রাক্তন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ডেইলি স্টারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মামলায় শেখ হাসিনা,সহ ঊর্ধ্বতন আধিকারিক ছাড়াও অজ্ঞাত পুলিশ কর্তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। আন্দোলনের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে আসার পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটাই প্রথম মামলা। এমতাবস্থায় মনে করা হচ্ছে, দেশে ফিরলেই গ্ৰেফতার হতে পারেন তিনি।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাঁর বাংলাদেশে ফেরা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশে ফিরে গেলে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে শেখ হাসিনা-সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আমির হামজা শাতিল। এতে আশ্চর্যের বিষয় হল, মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি নিহতের কোনও আত্মীয় নন। তাঁর কথা, দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক এবং মৃত ব্যক্তির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ায় তিনি মামলা দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বাসিন্দা। মামলা দায়েরকারী আমির হামজা বলেন, নিহতের পরিবার দরিদ্র এবং তারা মামলা লড়তে সক্ষম নয়, তাই তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। হামজা তাঁর অভিযোগে লিখেছেন, ১৯ জুলাই বিকেল ৪টায় আবু সাইদকে খুন করা হয়, যখন আইজিপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের নির্দেশে পুলিশ গুলি চালায়, তাই সবাই খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত। অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর আদালত বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আদেশ দেওয়া হবে।
No comments:
Post a Comment