দেশভাগের সময় নিপীড়িতদের শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর
প্রেসকার্ড নিউজ ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ আগস্ট: ভারত বিভাগের সময় অমানবিক ব্যথা ও যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাওয়া লোকদের প্রতি বুধবার (১৪ আগস্ট) শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে, এটা সেই লোকেদের সাহসকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর দিন, যাঁরা বিভাজনের দংশন সহ্য করেছেন এবং আবারও তাঁদের জীবন শুরু করেছেন। ১৯৪৭ সালের এই দিনেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ভারতকে বিভক্ত করে, তারপরে পাকিস্তান নামে একটি নতুন দেশের জন্ম হয়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস' উপলক্ষে আমরা সেই লোকেদের স্মরণ করছি, যাঁরা বিভাজনের ভয়াবহতায় প্রভাবিত হন এবং অনেক কষ্ট সহ্য করেছেন। এটি তাঁদের সাহসকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেওয়ারও দিন, যা মানুষকে পুনরুদ্ধার করার শক্তি দেখায়।" বিভাজনে প্রভাবিত বহু মানুষ তাদের জীবন পুনরায় শুরু করেছেন এবং বিপুল সফলতা অর্জন করেছেন। আজ আমরা আমাদের দেশে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন রক্ষা করার নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।"
উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে যখন ভারত-পাকিস্তান ভাগ হয়েছিল, তখন জনগণকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছিল। দেশভাগের পর ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সহিংসতা হয়, যার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত হতে হয়। এতে শত শত মানুষ প্রাণ হারায়। প্রধানমন্ত্রী মোদী, দেশভাগের সময় প্রাণ হারানো লোকেদের স্মরণ করতে ২০২১ সালে ঘোষণা করেন যা, প্রতি বছর 'বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস' পালন করা হবে।
এই দিনটি ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে, '১৪ আগস্ট সেই সমস্ত লোকদের সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগের স্মরণে উদযাপন করা হবে, যাঁরা বিভাজনের দংশন ভুগেছিলেন।' তিনি বলেছিলেন যে, 'বিভাজনের যন্ত্রণা কখনও ভুলে যাওয়ার নয়।'
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস উপলক্ষে দেশভাগের দংশন সহ্যকারীদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "আজ, বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবসে, সেই লক্ষ লক্ষ মানুষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই, যারা ইতিহাসের সবচেয়ে নিষ্ঠুর পর্বে অমানবিক যন্ত্রণা ভোগ করেছেন, জীবন হারিয়েছেন এবং গৃহহীন হয়েছেন। আমাদের ইতিহাসকে স্মৃতিতে ধারণ করে এবং তা থেকে শিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমেই একটি দেশ তার মজবুত ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে পারে এবং একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।"
No comments:
Post a Comment