'দুর্ভাগ্যজনক! সিপির পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় সাংসদকে তোপ কুণালের
কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনিত গোয়েল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবী জানিয়ে সিবিআইকে চিঠি লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সংক্রান্ত পোস্ট করেন তিনি। এবারে দলীয় সাংসদের এই পোস্টকে দুর্ভাগ্যজনক বলে তোপ দাগলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
সুখেন্দু শেখরের পোস্টটি রবিবার সকাল রিট্যুইট করেন কুণাল। আরজি কর কাণ্ডে সুবিচারের দাবী সমর্থন করলেও পুলিশ কমিশনার সংক্রান্ত দাবীর তীব্র বিরোধিতা করেন তিনি। কুণাল লেখেন, "দলের সিনিয়র লিডারের এই ধরণের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক।" তবে, তাঁর পোস্টে পুলিশ কমিশনারের পাশে দাঁড়ালেও আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি কুণাল, যা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিন এক্স পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "আরজি কর মামলার বিচার আমিও দাবী করছি। কিন্তু সিপি সংক্রান্ত এই দাবীর তীব্র বিরোধিতা করছি। তথ্য পাওয়ার পর তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে সিপি তাঁর কাজ করছিলেন এবং তদন্ত একটি ইতিবাচক ফোকাসে ছিল। এই ধরণের পোস্ট দুর্ভাগ্যজনক, তাও আমার সিনিয়র নেতার কাছ থেকে।"
উল্লেখ্য, পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবী তুলেছেন সুখেন্দু শেখর রায়। তাঁর পোস্টে তিনি লেখেন, "সিবিআইকে স্বচ্ছ ভাবে কাজ করতে হবে। প্রাক্তন অধ্যক্ষ পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। অবশ্যই জানতে হবে, কে কেন আত্মহত্যার কথা রটিয়েছিল? হলের দেওয়াল কেন ভাঙা হল? ৩ দিন পরে কেন স্নিফার ডগ ঘটনাস্থলে? কারা এত প্রভাবশালী? এমন শতাধিক প্রশ্ন রয়েছে।"
এর আগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মেয়েদের রাত দখলের ডাক কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, "আগামীকাল আমিও প্রতিবাদে যোগ দিতে যাচ্ছি। বিশেষ করে কারণ লক্ষ লক্ষ বাঙালি পরিবারের মতো আমার একটি মেয়ে এবং ছোট নাতনি রয়েছে।" তিনি আরও লেখেন, "আমাদের এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নারীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা অনেক হয়েছে। আসুন আমরা সবাই একসাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। যাই হোক না কেন।"
নারী নিরাপত্তা ইস্যুতে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। এই সংক্রান্ত কঠোর আইন আনার আবেদনও করেন তিনি। শীতকালীন অধিবেশনেই যাতে এই সংক্রান্ত বিল আনা হয়, সেই আর্জিও জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment