আরজি করে 'জাতপাতের নিরিখে দেখলে বুঝবেন এসবের পেছনে রয়েছে কোনও রোহিঙ্গা' : সৌমিত্র খাঁ
কলকাতা: কলকাতার আরজি কর কাণ্ডে ফুঁসছে গোটা দেশ। এ নিয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ যেমন চলছে, তমনই দিন দিন বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ধর্ষণের ঘটনায় কড়া আইন আনতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই চিঠি লেখা নিয়েই সুর চড়াল পদ্ম শিবির। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন এবং এই চিঠি লেখাকে একটি কৌশল বলে অভিহিত করেছেন। পাশাপাশি, আরজি কর নিয়ে তাঁর দাবী জাতপাতের নিরিখে দেখলে বুঝবেন, এর পেছনে কোনও রোহিঙ্গা রয়েছে।
শুক্রবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'এত বড় নাটক বিশ্বের কোথাও দেখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে চিঠি লিখেছেন, এটা পুরো নাটক।'
সৌমিত্র খাঁ বলেন, 'মমতা বন্দোপাধ্যায় এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাটকীয় নেত্রী।' সেই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ করে বলেন, 'আপনি নির্যাতিতার মাকে ১০ লক্ষ টাকায় কিনে নিচ্ছেন আর এখন বড় বড় কথা বলছেন।'
এ প্রসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গাদের কথাও ধরেন। তিনি বলেন, 'জাতপাতের নিরিখে দেখলে বুঝবেন এসবের পেছনে রয়েছে কোনও রোহিঙ্গা। তাই এর বিচার না হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই চেষ্টা করছেন।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা বলেন, "তিনি দেশের জন্য কখনও ভালো কিছু করেননি। তিনি নিজে ধ্বংস করবেন। তিনি পুরো পশ্চিমবঙ্গ, পুরো দেশকে ধ্বংস করবেন। মহিলাদের ধ্বংস করছেন এখন। আর এখন উনি নাটক করতে, জনগণকে দেখাতে, বিভ্রান্ত করতে এই চিঠি লিখেছেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, "দেশে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডেটা অনুযায়ী, প্রায় ৯০ টি ধর্ষণের ঘটনা প্রতিদিন দেশজুড়ে ঘটে। এটা সমাজ ও দেশের আস্থা-বিবেককে নাড়া দেয়। নারীরা যাতে নিরাপদ বোধ করতে পারে সেজন্য এটা শেষ করা আমাদের সবার কর্তব্য।"
চিঠিতে আরও লেখা, "এই ধরণের গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল ঘটনায় প্রয়োজন কঠোর কেন্দ্রীয় আইনের মাধ্যমে এমন জঘণ্য অপরাধের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান।" ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্টের মাধ্যমে এই ধরণের ঘটনা ঘটার ১৫ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে শাস্তি নিশ্চিতের দাবীও করা হয়েছে সেই চিঠিতে।
No comments:
Post a Comment