"তাঁকে এত বুকে আগলে রাখার চেষ্টা কেন?" পদ খুইয়ে বিস্ফোরক শান্তনু
নিজস্ব প্রতিবেদন, ১৫ আগস্ট, কলকাতা : আরজি কর কেলেঙ্কারি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন। এ ব্যাপারে সরকারকে আর আড়াল করবেন না বলে তিনি স্পষ্ট জানান। আর তখনই মুখপাত্রের পদ থেকে প্রাক্তন সাংসদকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। আর তারপরই বিস্ফোরক শান্তনু সেন।
তিনি (শান্তনু সেন) মুখ্যমন্ত্রীকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ করেছেন। শুধু তাই নয়, বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে হামলাকারীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ বলেছেন, "ভারতের একমাত্র অধ্যক্ষ, যাকে নিয়ে এত আলোচনা, বিতর্ক ও ঝড়, তাঁকে এত বুকে আগলে রাখার চেষ্টা করব?" শুধু তাই নয়, যার জন্য এত সমস্যা হচ্ছে কেন তাঁকে আটকানো হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি । দীর্ঘ তদন্তে সিবিআই একাধিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।
এই ঘটনায়ও তৃণমূলের এই নেতা দ্রুত তদন্ত শেষ করার দাবী জানান। প্রয়োজনে কাউকে না কাস্টাডিতে নেওয়ার প্রয়োজন হলে তা যাতে সিবিআই করে সেই দাবীও তোলেন। অর্থাৎ প্রাক্তন সাংসদ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের নাম না নিয়ে নিশানা করলেন।
আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে এনআরএস-এ পদোন্নতি করা হয়। NRS-এর জুনিয়র চিকিৎসকরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছেন। এমনকী সন্দীপ ঘোষের প্রভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেন। প্রশ্ন হল সকালে পদত্যাগ করে বিকেলে পুরস্কার পাওয়া যায় কিভাবে।
এরপরই কলকাতা হাইকোর্ট সন্দীপ ঘোষকে দীর্ঘ ছুটিতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে তিনি আরজি কর নিয়ে কথা না বলার সচেতন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, আরজি করের শিক্ষার মান এবং মামলায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছে।
শান্তনু সেন আরও অভিযোগ করেছেন যে তার মেয়ে, একজন মেডিক্যাল ছাত্রী, আরজি করে পড়ার সময় তাকেও হয়রানি করা হয়েছিল। একের পর এক এমন মন্তব্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আর এর পরেই শান্তনু সেনকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment