হাসপাতালে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা! বাধা দিয়ে আক্রান্ত নিরাপত্তা রক্ষী, আটক ২
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা, ২৪ আগস্ট: হাসপাতালে নিয়ম বহির্ভূতভাবে জোরপূর্বক ঢোকার চেষ্টা রোগীর আত্মীয়দের। বাধা দিতেই নিরাপত্তা রক্ষীকে মারধরের অভিযোগ, ছিঁড়ে দেওয়া হয় ইউনিফর্ম। মালদার চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুই যুবককে আটক করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত নিরাপত্তা রক্ষীর নাম মনসুর আলম। তার প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। অভিযোগ, ভিজিটিং আওয়ার্সের সময় না হওয়ায় দুই যুবক জোরপূর্বক হাসপাতালে ঢোকার চেষ্টা করে।তাদের কাছে ভিজিটিং কার্ডও ছিল না। বাধা দিতেই নিরাপত্তা রক্ষীর ওপর তেড়ে আসে তারা। গালিগালাজ, হুমকি এমনকি মারধর করে বোতাম-সহ জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় ওই নিরাপত্তা রক্ষীর। ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাঁচল থানার পুলিশ। দুই যুবককে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চাঁচল থানার পুলিশ।
আক্রান্ত নিরাপত্তা রক্ষী মনসুর আলম বলেন, 'ওদের বলেছি এখন না, ১১ টা বাজলে ভেতরে যেতে। এরপরেই আমাকে গালিগালাজ ও মারধর করে। আমাকে ঘুষি মেরেছে, দুজন ছেলে ছিল। দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়, শার্টে টেনে নিচে ফেলে দেয় আমাকে।'
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সহকারী সুপার ত্রিদিব মাইতি এই বিষয়ে বলেন, 'থানায় অভিযোগ করা হবে। মানুষ অসচেতন হওয়ায় এই ঘটনা ঘটছে। পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক।'
তিনি বলেন, "আমাদের নিরাপত্তা রক্ষীরা হাসপাতালে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করেন সবসময়। কিন্তু কিছু রোগীর আত্মীয়রা অনেক সময় উত্তেজিত হয়ে আমাদের গালাগালি ও আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রাতে মদ্যপ হয়ে এসে ঝামেলা করে। আজ আমাদের এত সিনসিয়ার সিকিউরিটি গার্ডকে মারা হল, এটা খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা চাই ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী যদি মার খায়, তাহলে কী আমরা ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারব? এর জন্য শুধু হাসপাতাল বা পুলিশ প্রশাসন নয়, জনগণকেও বুঝতে হবে।" তাঁর সংযোজন, "নিয়ম মেনে সকলকেই চলতে হবে। জনগণ যদি হাসপাতালে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য না করে, তাহলে আমরাও ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে পারব না।"
No comments:
Post a Comment