দিল্লির মানুষের আয়ু কমেছে বারো বছর
প্রেসকার্ড নিউজ,লাইফস্টাইল ডেস্ক,৩১ আগস্ট: দিল্লির বাতাস দিল্লির মানুষকে অসুস্থ করে তুলছে।দিল্লির বাতাস এতটাই খারাপ যে মানুষের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে।শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউট এই তথ্য জানিয়েছে।প্রতিষ্ঠানটি এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স ২০২৪ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।প্রতিবেদনে রয়েছে চমকপ্রদ অনেক তথ্য।
আয়ু কমেছে ১২ বছর!
প্রতিবেদনে দেখা গেছে দিল্লির বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক যে এটি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের শক্তি নীতি দ্বারা প্রকাশিত এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স ২০২৪-এর রিপোর্ট অনুসারে দিল্লির মানুষের জীবনকে কমিয়ে দিয়েছে।দিল্লির মানুষের আয়ু কমেছে ১১.৯ বছর।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুযায়ী,দিল্লি উত্তর ভারতের অন্যতম দূষিত শহর। শুধু তাই নয়,বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)মানদণ্ডেও দিল্লি বহু গুণ পিছিয়ে রয়েছে।
২০২২ সালে PM ২-এ ১০ টি ম্যাক্রো গ্রেইনের হ্রাস হয়েছিল। মাত্র ১০ ম্যাক্রোগ্রামের ক্ষতি মানুষের জীবনে এক বছরে যোগ করেছে।কিন্তু তারপরও বায়ু দূষণের কারণে দিল্লিতে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
PM২.৫ কেন হয়?
PM২.৫ হল এক ধরনের বায়ু দূষণ যা ২.৫ মাইক্রোমিটার বা তার চেয়ে ছোট ব্যাসের কণা নিয়ে গঠিত।এই কণাগুলো এতই ছোট যে এগুলোকে শুধুমাত্র মাইক্রোস্কোপ দিয়েই দেখা যায়। বাতাসে পিএম ২.৫ কণা থাকে।শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় এগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে,ফুসফুস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
PM২.৫ এর প্রধান উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে যানবাহন নিষ্কাশন,শিল্প প্রক্রিয়া,কয়লা বা কাঠ পোড়ানো এবং ধুলো। এই কণার মাত্রা বেশি হলে বাতাসের গুণমান খারাপ হয়।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট অনুসারে,ভারতে PM২.৫(২.৫ মাইক্রোমিটারের কম ব্যাসের বাতাসে কণা)মান এক বছরে ৪০ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটারে স্থির করা হয়েছে।কিন্তু ৪০% এরও বেশি জনসংখ্যা এই সীমার চেয়ে অনেক খারাপ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে।এই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে ভারত যদি তার PM ২.৫ জাতীয় মান পূরণ করতে থাকে তবে দিল্লিতে বসবাসকারী মানুষের জীবনকাল ৮.৫ বছর বাড়তে পারে।
দিল্লির জনগণের জীবন নিয়ে এই হুমকি কমানো যেতে পারে। তবে এর জন্য ডব্লিউএইচওর মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।২০২২ সালে দেশের বায়ু দূষণ ১৯.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।যার কারণে ভারতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের গড় আয়ু এক বছর বেড়েছে।
No comments:
Post a Comment